নিজস্ব প্রতিবেদক
মণিরামপুরের মোবারকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মেহেদী আল ইমরান খান পান্নাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ১৪ জনকে অভিযুক্ত এবং দুইনজনের অব্যাহতি চেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আতিকুজ্জামান যশোর আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো, মোবারকপুর গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের দুই ছেলে শফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম, মৃত শের আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম, মৃত আবুল হাশেমের দুই ছেলে শাহিনুজ্জামান বাবু ও রাজু আহম্মেদ, শরিফুল ইসলামের দুই ছেলে সুমন হোসেন ও সোহাদ হোসেন, মৃত সমশের আলীর ছেলে আমদাজ হোসেন, মৃত বেলায়েত হোসেন মোড়লের ছেলে আব্দুস সালাম, মৃত শওকত আলীর ছেলে হাসানুজ্জামান, মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে কামাল হোসেন, মৃত কাবুল হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন, জাকাত আলীর ছেলে আল আমিন এবং মৃত এরশাদ আলীর ছেলে মনি সরদার।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামিদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল ব্যবসায়ী পান্নার। গত ১৭ জুন রাতে বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীক কাজে রাজগঞ্জ বাজারে যাচ্ছিলেন পান্না। পথিমধ্যে একই গ্রামের কোমর আলীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে আসামিরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পান্না মোটরসাইকেল থামানোর সাথে সাথে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে আসামিরা। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপরে স্থানীয়রা পান্নাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পান্না এই ঘটনার পরদিন হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। একই সাথে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় খলিলুর রহমান ও ইউনুচ আলীর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক ও বাকিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।