নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের মণিরামপুরের মামুন নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে চারমাস পরে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল ২২ জুন নিহতের পিতা উপজেলার খোজালীপুর গ্রামের মশিয়ার রহমান যশোর আদালতে ১০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল মামলাটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য ২৭ জুন দিন ধার্য করেছেন।
আসামিরা হলো, একই উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের ইসলামের ছেলে আরমান হোসেন, খোজালিপুর গ্রামের সানাউল্লাহ মোড়লের ছেলে আনিসুল ইসলাম, মোহাম্মদের ছেলে আইয়ুব আলী সরদার, জহর আলীর ছেলে সোবহান হোসেন, শুকুর আলী মোড়লের ছেলে ইলিয়াস হোসেন, নজরুল ইসলামের ছেলে ইমন হোসেন, আব্দুল গণি সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেন, আব্দুল লতিফ সরদারের ছেলে শাহাজান আলী, বাকোশপোল গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে ইনামুল হোসেন ও আব্দুর রউফের ছেলে রবিউল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিক থেকে আসামিরা কোন কারণ ছাড়াই মামুনকে দেখা মাত্র তাড়া করতো। বিষয়টি জানতে পেরে তার পিতা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে তাড়া করতে নিষেধ করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আসামি আরমান হোসেন গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে মামুন পিছন দিক থেকে ডাকে। কিন্তু মামুন তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। পরদিন রাতে মামুন বাড়িতে ছিল। সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আরমান বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। গভীর রাতে আসামি আনিসুল বাড়িতে এসে জানায় মামুন দক্ষিণপাড়া মসজিদের সামনে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলে। এ খবর শুনে বাড়ি সকলে ঘুম থেকে উঠে মসজিদের সামনে গিয়ে দেখে গুরুতর আহত ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মামুন পড়ে আছে। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশ পরদিন সকালে মামুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এই ব্যাপারে মামলা করার কথা বলে পুলিশ তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে একটি স্বাক্ষর নিয়েছিল। এরপরে অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন।