নিজস্ব প্রতিবেদক
মণিরামপুর বাজারের কুলটিয় রোডের আল আমিন বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টসে হামলা-ভাংচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও মারপিটের অভিয়োগে মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার মোহনপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে ব্যবসায়ী জাকির হোসেন এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, মণিরামপুরের দুর্গাপুর গ্রামের মৃত খোকন দফাদারের ছেলে বাজরের মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এসএম লুৎফর রহমান, মিজানুর রহমান, রশিদ গাজীর ছেলে নুরো, যশোর আলীর ছেলে হাসেম আলী, মোহনপুর গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন, শুনিল বোসের ছেলে উত্তম কুমার, তাহেরপুর গ্রামের ইমান বোসের ছেলে ভজন, ভোলা বোসের ছেলে তুলসি বোস ও চালকিডাঙ্গা গ্রামের আসমতুল্যার ছেলে খবির হোসেন খুররম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জাকির হোসেন মণিরামপুর বাজারের কুলটিয়া রোডে মসজিদ মার্কেটের তিনটি দোকান ভাড়া নিয়ে আল আমিন বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টসের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। মসজিদ কমিটি পরিবর্তন হলেও আগের নিয়মে ভাড়া আদায়কারীর কাছ থেকে রশিদ গ্রহন করে প্রতি মাসের ভাড়া পরিশোধ করে আসছিলেন তিনি। সম্প্রতি আসামি লুৎফর রহমান মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে জাকিরকে দোকন থেকে উচ্ছেদ করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। চলতি বছর থেকে আসামি লুৎফরের প্ররোচনায় ভাড়া নেয়া বন্দ করে দেয়া হয়। এছাড়া ভাড়া নতুন নবায়নের জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা লুৎফরকে দিলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। লুৎফর দোকান উচ্ছেদ করবে বলে হুমকি দিয়ে জাকির হোসেনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি গত ১০ ফেব্রুয়ারি গার্মেন্টস মালিক সমিতিতে জানালে তারা দোকান উচ্ছেদ না করার জন্য মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করে একটি চিঠি দেন। এতে লুৎফর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উল্লেখিত আসামিরাসহ অপরিচিত ২০/২৫ জন নিয়ে দোকানে হামলা করে ভাংচুর, নগদ টাকা, মালামাল লুটপাটও জাকির হোসেনকে মারপিট করে জখম করে। আহত জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।