নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে যশোরের মণিরামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ তিনটি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা প্রধান সড়কে অগ্নিসংযোগ করে। রোববার (৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মণিরামপুর বাজারে আন্দোলনকারী বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতার মিছিল থেকে এই অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ মিছিলটি থানা ঘেরাও করতে গিয়ে থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েছে।
তবে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের কাউকে আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রতিহত করতে দেখা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে সাড়া দিয়ে রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কয়েক হাজার ছাত্রজনতা মণিরামপুর সরকারি কলেজ গেটে জড়ো হয়। পরে তারা লাঠিসোটা হাতে মিছিল নিয়ে মণিরামপুর বাজারে আসে। এ সময় মিছিলে থাকা বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর তারা দলটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, মিছিলের একপর্যায়ে হামলাকারীরা মণিরামপুর পৌরসভা কার্যালয়ের প্রধান ফটক, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ের ফটক ও মণিরামপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে ভাঙচুর চালিয়েছে। পরে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে থানা অভিমুখে রওয়ানা হলে প্রধান সড়কে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া বিএনপির থানা কমিটির আহ্বায়ক শহীদ ইকবালসহ দলের কয়েকজন নেতাকর্মীর বাধার মুখে পড়ে ফিরে যায়।
এদিকে আন্দোলনকারীদের মিছিল আসার খবরে ভয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এ সময় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৫টার দিকে মিছিলকারীরা সটকে পড়ার পরপরই বিজিবির একটি টহল দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এরপর থানা পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে রোববার সকালে মণিরামপুর বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ওসি মেহেদী মাসুদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
