নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুরে প্রাইভেট ক্লিনিকে অপচিকিৎসায় হাফিজা বেগম নামে এক নারী হাত হারাতে বসেছেন। তিনি ঝিকরগাছার দোস্তপুর গ্রামের আলাউদ্দীনের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রোকেয়া ক্লিনিকে। এ ঘটনায় তার ছেলে আশিকুর রহমান সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বর্তমান তিনি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৪ রমজানে দুর্ঘটনায় হাফিজা বেগমের ডান হাত ভেঙে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলার রোকেয়া ক্লিনিকে ডাক্তার নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করেন। সেখানে ৩৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ২৮ এপ্রিল তার অপারেশন সম্পন্ন হয়। এক সপ্তাহ ভর্তি থাকার পর ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে গেলে হাতে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। পুনরায় তিনি ওই ক্লিনিকে গেলে সেখানে ভর্তি রাখতে অস্বীকার করেন কর্তৃপক্ষ। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।
ভুক্তোভোগীর ছেলে আশিকুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত তার মাকে ৩ বার যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সর্বশেষ তাদের জানানো হয়েছে হাত বাঁচাতে হলে ঢাকা বা ভারতে নিয়ে যেতে হবে। এ সমস্যার যশোরে কোনো চিকিৎসা নেয়। তাদের বাইরে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ নেই। রোকেয়া ক্লিনিকে যোগাযোগ করলে তারা এ রোগীর দায়িত্ব নিয়ে অস্বীকার করছেন। শুধুমাত্র ওই ক্লিনিকেই খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তার মায়ের চিকিৎসার জন্য লাখ টাকা খরচ হলেও এখনো সুস্থ হতে পারেনি। ডাক্তার নজরুল ইসলামের অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে তার মা। ইতিমধ্যে হাতে পচন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হচ্ছে। যা তাদের পরিবারের জন্যে কষ্টসাধ্য। তিনি এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করেছেন।
সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, অভিাযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১ Comment
How long does it take to recover from upper limb
tourniquet palsy?
The sensory deficit took eight weeks to recover, whereas paresis took twenty three weeks.