মণিরামপুর ও নেহালপুর প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসানের পৈত্রিক বাড়িসহ পাশাপাশি দুইটি পরিবারের ছয়জনকে অচেতন করে মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। অচেতন অবস্থায় ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার দত্তকোনা গ্রামের কাজী হুসাইন, কাওছার ও মোশারফের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মণিরামপুর পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসানের পৈত্রিক বাড়ি উপজেলার দত্তকোনা গ্রামে। মেয়রের ছোট ভাই কাজী হুসাইন ঘটনার রাতে গ্রামের বাড়িতে একাই ছিলেন। রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা মেয়রের পৈত্রিক বাড়িসহ পাশাপাশি অপর দুই বাড়িতে প্রবেশ করে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে। এরপর নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়। অবশ্য পুলিশ দাবি করছে, এটা অজ্ঞান পার্টির কাজ। দুর্বৃত্তরা চেতনানাশক বিষ স্প্রে করে এদেরকে অজ্ঞান করে বাড়িঘর তছনছ করে লুটপাট করেছে।
বুধবার সকালে অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, রেবেকা খাতুন (৪৫), তানিয়া খাতুন (৪০), শোভা (১৩), কাওছার আলী (৬৫), হারুন গাজী (৮০) ও কাজী হুসাইন আহম্মেদ (৭০)। এদের মধ্যে কাওছার, হারুন ও রেবেকা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় যশোর ও খুলনাতে রেফার্ড করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বিশ্বাস বলেন, চেতনা নাশক ওষুধ স্প্রে মাধ্যমে অজ্ঞান হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
নেহালপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
মণিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হুসাইন, সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুনসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুই ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।