নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুরে নিখোঁজের তিনদিন পর আলুক্ষেত থেকে এক রংমিস্ত্রির অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের হায়দারনগর গ্রামের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত জাহাঙ্গীর আলম (২৮) রূপসপুর গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে। গত ৩ আগস্ট বিকেলে তিনি নিখোঁজ হন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রং মিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম গত ৩ আগস্ট বিকালে হায়দারনগর মোড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। বাড়ির লোকজন ওই রাতে ও পরদিন বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়েও জাহাঙ্গীরের কোন সন্ধান পাননি। এমনকি বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতেও জাহাঙ্গীরের নিখোঁজের সংবাদটি প্রচার করা হয়। কিন্তু কোনো সন্ধান না পেয়ে মণিরামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এদিকে ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরের দিকে নিহত জাহাঙ্গীরের পিতা নায়েব আলী বাড়ি থেকে হায়দারনগর মাঠে তার আলু ক্ষেতে যান। সেখানে গিয়ে দুর্গন্ধ পান। এ সময় আশেপাশে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে আলুক্ষেতের মধ্যে অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান। তার চিৎকারে আশপাশে লোকজন এসে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ও স্থানীয় ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সঞ্জিত কুমার ঘটনাস্থলে যান। অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের দাদা আবু তালেব বলেন, জাহাঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় রংয়ের কাজ করে বেড়ায়। কেউ না কেউ তাকে হত্যা করে আলুক্ষেতে ফেলে রেখে গেছে। জাহাঙ্গীরের জিনিয়া ও জেরিন নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম বলেন, জাহাঙ্গীরকে ভালো ছেলে হিসেবেই সবাই জানে। তিনি রংমিস্ত্রির কাজ করেন। জানামতে তার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জাহাঙ্গীর আলম নিখোঁজ ছিলেন। রোববার বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যাকা- কিনা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তবে জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
