নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৩২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন খান বুধবার মামলাটি করেছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিবি পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মো. মসিয়ার রহমান।
আসামিরা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের মুজিবর রহমান খানের ছেলে ফিরোজ খান, নুর ইসলাম খান ও তার ছেলে ইমন খান, মুনসুর আলী খানের ছেলে তপু খান, মিজান খানের ছেলে মিরাজ খান, ওহাব মোড়লের ছেলে হৃদয় মোড়ল, মেহের আলীর ছেলে জাহাবক্স, আব্দুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান মোড়ল, ছাত্তার গাজীর ছেলে মশিয়ার রহমান, মশ্মিমনগর গ্রামের মৃত ইনছান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান ও শাহরিয়ার আলম খান, রওশন আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম খান ও হাফিজুর খান, সাইফল খানের ছেলে শাওন খান, মান্নান খানের ছেলে মাসুম, হাতেমের ছেলে শিমুল, আনার খানের ছেলে বাবু, খাদেমের ছেলে শাহিনুর, রজব আলীর ছেলে হেলাল খান, রহিম খান ও তার ছেলে সজীব, ছাত্তার খানের ছেলে বাবলু, পারবাজার জয়রামপুরের মজিদ মাস্টারের ছেলে মসিয়ার রহমান, কেরামতের ছেলে আমিরুল, ইমান সানার ছেলে সিরাজুল সানা, মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে ইউনুচ আলী, বজলুর রহমানের ছেলে আয়ুব হোসেন, মশ্মিমনগর গ্রামের কাওছার আলী গাজীর ছেলে হাফিজুর রহমান ও আনিচুর রহমান, ফজলে সরদারের ছেলে শাহজাহান, মহির গাজীর ছেলে ইমদাদুল ও আব্দুল খানের ছেলে ফিরোজ খান।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, উল্লিখিত আসামিদের মধ্যে হাবিবুর রহমান খান ও শাহরিয়ার আলম খানের বড়ভাই সরকারি একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও ইন্ধনে আসামিরা এলাকায় বেপরোয়া অন্যায় কাজ করতে থাকেন। আসামি হাবিবুর রহমান খান ও শাহরিয়ার আলম খানের মামাতোভাই গত ১৭ জানুয়ারি রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনায় সুমন খানসহ তার আত্মীয় স্বজনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার কারণে পুলিশের ভয়ে সুমন খানসহ অন্য আসামিরা আত্মগোপন করেন। এই সুযোগে গত ১৮ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে হাবিবুর রহমান খান ও শাহরিয়ার আলম খানসহ ৩২ জন আসামি দা, কুড়াল, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও শাবল নিয়ে মোবারকপুর গ্রামে সুমন খানের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় তারা সুমন খানের বাড়ি ছাড়াও তার ভাই সোহাগের বাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করেন। তারা সুমন খানের ঘরের ভেতর ঢুকে নগদ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, একটি বাইসাইকেল এবং বাড়ির গোয়ালঘরে থাকা ১টি গরু ও ২টি ছাগল লুট করে নিয়ে যান। তখন আসামিদের বাধা দিতে গেলে তারা সুমন খানের মাকে মারধর করে জখম করেন। ওই ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গত ২৩ জুলাই আদালতে আত্মসমপর্ণের পর জামিন পান সুমন খান। পরে তিনি বাড়িতে গিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনাটি জানতে পারেন। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতের আশ্রয় নিতে বলেছে। এ জন্য আদালতে মামলা করেছেন সুমন খান।
