নিজস্ব প্রতিবেদক: মণিরামপুরে একটি হত্যাকা-কে পুঁজি করে প্রতিপক্ষের ধান কেটে নেয়া, বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ও ডাকাতির অভিযোগে আদালতে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। বুধবার উপজেলার ভরতপুর গ্রামের হোসেন আলী মোড়ল ও মঙ্গলবার আব্দুল কাদের বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল মামলা দুইটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মণিরামপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ডাকাতি মামলার আসামিরা হলো, ভরতপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার মোড়লের তিন ছেলে আসাদুজ্জামান, নুরুজ্জামান ও আব্দুর রউফ, শামসুর রহমান সরদারের দুই ছেলে মাহাবুর রহমান ও আশিকুর রহমান, ইসমাইল সরদারের দুই ছেলে আব্দুল ওহাব ও আব্দল লতিফ, খোরশেদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, আলেক মোল্যার দুই মেয়ে শিখা বেগম ও চায়না বেগম।
বিস্ফোরক মামলার আসামিরা হলো, জব্বার মোড়লের তিন ছেলে আসাদুজ্জামান, নুরুজ্জামান ও আব্দুর রউফ, শামসুর সরদারের দুই ছেলে মাহাবুর রহমান ও আশিকুর রহমান, ইসমাইল সরদারের দুই ছেলে আব্দুল ওহাব ও আব্দুল লতিফ, খোরশেদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন।
হোসেন আলী মামলায় বলেছেন, একরামুল হত্যায় মণিরামপুর থানার জিআর ৬৬/২০২২ মামলায় তার দুই ছেলে জেলহাজতে আটক রয়েছে। গত ২১ মে রাত ১টার দিকে আসামিরা অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এরমধ্যে আসামিরা ঘরের তালা ভেঙ্গে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে ৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, পানির পাম্প, ১৫ মণ চাল, ২ মণ সরিষা, ফ্রিজ, ৩টি ফ্যান, ২টি বাইসাইকেল, গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার নিয়ে যায়।
এ ছাড়া যাবতীয় আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করে। গভীর রাত পর্যন্ত লুটপাট শেষে আসামিরা হোসেন আলীকে ঘর থেকে বের করে তালা লাগিয়ে চলে যায়। বর্তমানে তার পরিবার বাড়িতে ফিরতে পারছেনা বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন।
অপরদিকে আব্দুল কাদেরের মামলায় জানা গেছে, তার ছেলে একই মামলার ১ নম্বর আসামি। বর্তমানে সে জেলহাজতে আটক রয়েছে। গত ১৩ মে সকালে তার জমিতে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছিলেন। এ সময় আসামিরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেয়। এ সময় আব্দুল কাদের বাধা দিলে তাকে মারপিট করে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে জমির সব ধান ট্রলিতে করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া আব্দুল কাদেরের আরও ৭ জমির ধান আসামিরা নষ্ট করে দেয়। বর্তমানে আসামিদের ভয়ে তিনিও বাড়ি ছেড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশ গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন।