নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর
যশোরের মণিরামপুরের কুলটিয়া ইউনিয়নে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) ২০২৩-২৪ চক্রে দুস্থ নারীর তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দৈনিক কল্যাণ পত্রিকায় ওই ইউনিয়নের ভিডব্লিউবি চালের তালিকার অনিয়ম নিয়ে ‘স্বচ্ছলরা হয়ে গেলেন দুস্থ নারী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর কুলটিয়া ইউনিয়ের ভিডব্লিউবির তালিকা তদন্তে কমিটি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
কমিটির সদস্যরা হলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের ক্রেডিট সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম। কমিটিকে আগামী ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ইউএনও জাকির হোসেন দৈনিক কল্যাণকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য মো. রোকনুজ্জামান বলেন, তদন্ত কমিটির দায়িত্ব পেয়েছি। আমাদের পাঁচ কর্ম দিবস সময় দেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সরেজমিন তদন্তে যাব।
এর আগে ভিডব্লিউবির ২০২৩-২৪ চক্রে প্রস্তুতকৃত কুলটিয়া ইউনিয়নে দুস্থ নারীদের চালের তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (৪, ৫ ও ৬ নম্বর) ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রমা দত্ত। এ নিয়ে তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসকের দপ্তরসহ নানা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইউপি সদস্য রমা দত্তের অভিযোগ, তার ওয়ার্ডে ভিডব্লিউবির নতুন চক্রে ৩৮ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। যার ১৮টিতে রয়েছে স্বচ্ছল ব্যক্তির স্ত্রীর নাম। তাদের কারো পাকা ছাদের বাড়ি, মাছের ঘের ও ৪-৫ বিঘা করে চাষের জমি রয়েছে। কুলটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরুষ ইউপি সদস্যরা টাকার বিনিময়ে এবং স্বজনপ্রীতি করে এসব নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। তার অভিযোগের কারণে কুলটিয়া ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত ১২৪ জনের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দু’ মাসের চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মণিরামপুর সেই টিকটক সুমন সহযোগীসহ আটক