নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের মণিহার এলাকায় যানজট নিরাসনে কঠোর হচ্ছে জেলা প্রশাসন। সড়কের পাশে কোন বাস, সিএনজি ও ইজিবাইক থামতে পারবে না। রাস্তা দিয়ে যত্রতত্রভাবে ইজিবাইকও চলাচল করতে পারবে না। বাসগুলো টার্মিনালে রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মণিহার মোড়ের যানজট নিরসনের লক্ষে গঠিত কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
সভায় জানানো হয়, ‘যশোরে নতুন করে আর ইজিবাইক সিএনজি রিকসার লাইসেন্স দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে শহরের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রিকসা ইজিবাইক চলাচল করছে। অবৈধ রিকসা চলাচল ও যত্রতত্র গাড়ি চলাচলে শহরের যানজট সমস্যায় রূপ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যানজট নিরসন করা হবে। বর্তমানে শহরের মনিহার সড়কে দিনভর যানজটের সৃষ্টি হয়। এই যানজট সৃষ্টি হওয়ার কারণ হলো ইজিবাইক সিএনজি এবং বাস থামিয়ে পার্কিং করা। এই মোড়ের দুই পাশে এলোমেলোভাবে কোন যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। সুশংঙ্খলভাবে গাড়িগুলো পার্কিং করা হবে। এছাড়া মণিহার-মুড়লী সড়কে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলমান থাকাতে এই সড়কের যানচলাচল ও যাত্রীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক সড়ক ও জনপদ বিভাগকে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেন। একই সাথে মণিহার এলাকায় দ্রুত অবৈধ দোকানপাট ও অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য সংশ্লিষ্ঠদের নির্দেশ দিয়েছেন। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন, এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাশ, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান, যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকছেমুল বারী অপু, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পবিত্র কাপুড়িয়া, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মাহবুবুর রহমান মজনু, জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু, যশোর বাস মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাবলু, মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকব অসীম কুমার কুন্ডু প্রমুখ।