নিজস্ব প্রতিবেদক
মনিরামপুরের হোগলাডাঙ্গা গ্রামের বুলবুল বিশ্বাস বুলুকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টার ও মিথ্যা অস্ত্র মামলা দেয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় থানার তৎকালীন ওসি ও এসআইসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল রোববার ভুক্তভোগী বুলবুল বিশ্বাস নিজেই বাদী হয়ে এই মামলা কলেছেন। মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
আসামিরা হলেন, মণিরামপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান, এসআই শরিফ হাবিবুর রহমান, এসআই রবিউল ইসলাম, এসআই নাছির উদ্দিন, এসআই হিরন্ময় সরকার, এসআই ফিরোজ, এসআই মাসুম বিল্লাহ, এসআই রমাজান আলী, এএসআই ফেরদৌস আলী, এএসআই জহিরুল ইসলাম, হোগলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বক্স গাজীর ছেলে ফজলু গাজী, আনোয়ার বিশ^াসের ছেলে মুজিবর বিশ^াস, মৃত হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মাহাবুবুর রহমান ও হাজরাকাটি গ্রামের আব্দুল মজিদ গাজীর ছেলে ফজলুর রহমান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে মণিরামপুর থানার তৎকালীন ওসি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে¡ আসামি বুলবুল বিশ্বাসকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।
বুলবুলের স্বজনের বেলা ১১টার দিকে মণিরামপুর থানায় গিয়ে বুলবুলকে থানা হাজতখানায় আটক দেখতে পায়। এরপর স্বজনেরা ওসির কাছে গেলে বুলবুলকে ছেড়ে দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আসামিরা বুলবুলকে থানা থেকে বের করে মনিরামপুর-নওয়াপাড়া রোডের জনৈক মাহবুব হোসেনের আমবাগানে নিয়ে দুই পায়ে গুলি করে। এরপর তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে আসামিরা পরিকল্পনা করে অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে বুলবুলের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। মামলা থেকে জামিন পেলেও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তখন তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আশায় তিনি এই মামলা করেছেন।