নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের মনিরামপুরে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করানোর অভিযোগ উঠেছে। তাকে বিএনপির অফিসে নিয়ে জীবননাশের হুমকি দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লেখা একটি পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, মনিরামপুরের ডাঙ্গামহিষদিয়া পাড়িয়ালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১৯৮৭ সালে যোগ দেন মিজানুর রহমান। আগামী বছরের ৩ এপ্রিল তার অবসর যাওয়ার কথা রয়েছে। গত ১৫ আগস্ট তাকে বিদ্যালয় থেকে ডাঙ্গামহিষদিয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামসহ বিএনপির ২০-২২ জন ধরে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে নানাভাবে অপমানিত করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে তাদের লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পদত্যাগপত্র এবং আরো একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়। পরে চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র ও ওই কাগজটি উদ্ধার করতে পারেননি তিনি।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমি কিডনি, হাইপ্রেসার, ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত। ১৫ আগস্টের দিন ডাঙ্গামষিদিয়া গ্রামের আশরাফুল বিদ্যালয়ে এসে বলেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল দেখা করতে বলেছেন। এখনই তাকে যেতে হবে বলে চাপ দিলে তিনি বিদ্যালয়ের মৌলভী শিক্ষক কাউয়ুম আজাদের সাথে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে যান। সেখানে উপস্থিত শহীদ ইকবালের ভাই উপজেলা বিএনপির নেতা ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক ছিলেন। তিনিসহ অন্যান্যরা তাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেন। আপত্তি করলে তাকে মারধর করতে রুখে আসেন। এক পর্যায়ে বাধ্য হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পদত্যাগ পত্র লিখে দেন। সেখানে তিনি স্বাক্ষর করেন। এছাড়া আরো একটি সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর করে নেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির নেতা ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। এটা ব্যক্তির কোন সমস্যা নয়। এটা উপজেলা পরিষদের সমস্যা। আপনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
