নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর-৫ মনিরামপুর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ইয়াকুব আলীর ঈগল প্রতীকের প্রচারণা অফিসে অতর্কিত হামলার অভিযোগ নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এতে ঈগল প্রতীকের পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন। পরে এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ঝাঁপা দক্ষিণপাড়া মহিলা মাদ্রাসা মোড়ের নির্বাচনী অফিসে এ হামলা চালায়।
আহত ব্যক্তিরা হলেন : তরিকুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, রওশন জামাল টুটুল, মনিরুজ্জামান ও হাসানুজ্জামান। তাদের সবার বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়।
হামলার শিকার রওশন জামাল টুটুল বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমরা ২০ থেকে ২৫ জন ঝাঁপা দক্ষিণপাড়ায় ঈগলের অফিসে বসে আলোচনা করছিলাম। এরমধ্যে হঠাৎ ঝাঁপা এলাকার কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা, সিরাজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শিমুল হোসেন ও বাবলাসহ ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। হামলাকারীরা অফিস ভাঙচুরসহ পিটিয়ে আমাদের পাঁচ থেকে সাত জনকে আহত করেছে।’
টুটুল আরও বলেন, ‘হামলাকারী ৪০ থেকে ৫০ জন ছাড়া ঝাঁপা ইউনিয়নে নৌকার কোনো সমর্থক নেই। বিএনপির স্থানীয় সমর্থকরা ঈগলে সমর্থন দিয়ে আমাদের সঙ্গে আছেন। এজন্য ভোটের মাঠে গেলে পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে আমাদের ওপর হামলা করেছে।’
নৌকা প্রতীকের কর্মী অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাত ৮টার পর টুটুলসহ ঈগলের লোকজন রাজগঞ্জ বাজার থেকে ঝাঁপা মাদ্রাসা মোড়ে এলে স্থানীয় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সময় আমি সেখান থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে ভোট চাচ্ছিলাম।’
মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘মূলত তারা রাজগঞ্জ থেকে এসে উস্কানিমূলকভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই রাতে ওরা না এলে কিছুই হতো না। তারপরও যা হয়েছে এটাতে আমরা সমর্থন করি না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। তদন্তে যাদের নাম বেরিয়ে আসবে তাদের শাস্তি হোক।’
এদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে আহত তরিকুল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় মামলা করেছেন। এর পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাবলা, আকাশ ও নুরুজ্জামান নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, ‘রাতেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পাওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘মামলায় এজাহার নামীয় আট জন আসামির মধ্যে আমরা তিন জনকে গ্রেফতার করেছি।’