নিজস্ব প্রতিবেদক
জামে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে তর্কবির্তকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কামরুজ্জামান (৩৮) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত হাজের আলী মোল্লার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব। আসামিরা হলো, সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের কামরুজ্জামান ওরফে মনু মিয়ার ছেলে জনি, একই গ্রামের আব্দুল মমিন মোল্লার ছেলে ইমদাদুল হক, একই গ্রামের মৃত আব্দুর বারিক মোল্লার ছেলে আশিকুর রহমান, মৃত আব্দুল গণি মোল্লার ছেলে রিপন, আব্দুল মমিন মোল্লার ছেলে ইমরান হোসেন ও শান্তি মোল্লার ছেলে শাহিনুর রহমানসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫/৬ জন।
মামলায় আব্দুল ওহাব বলেন, বাহাদুরপুর বাশিয়াপাড়া-মোল্লা পাড়ায় জামে মসজিদ নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে শনিবার আছরের নামাজের পরে তর্কবিতর্ক হয়। এতে আসামিরা কামরুজ্জামানের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট ও খুন জখম করার ষড়যন্ত্র করে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার পর আমি ও ছেলে কামরুজ্জামান জামে মসজিদের মাগরিব নামাজ পড়তে যাই। মাগরিবের নামাজ শেষে বারান্দায় মসজিদের উন্নয়নের বিষয় আলাপ আলোচনাকালে আসামি জনি ধারালো ছুরিসহ মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করে। আসামিরা একত্রিত হয়ে ছেলে কামরুজ্জামানকে মসজিদের বারান্দায় আটক করে রাখে। আশিকুর রহমান রিপন কামরুজ্জামানের দুই হাত ধরে রাখে। ইমদাদুল হকের হুকুমে জনি ধারালো ছুরি দিয়ে কামরুজ্জামানকে খুন করার উদ্দেশ্যে তলপেটের ডান পাশে স্বজোরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। অন্যান্য আসামিরা কামরুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে জখম করে। কামরুজ্জামানের চিৎকারে বাদীসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে ধারালো ছুরি ফেলে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় কামরুজ্জামানকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।