নিজস্ব প্রতিবেদক
মাগুরার মহম্মদপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মহম্মদপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রতন মোল্লা এবং ছাত্রনেতা নবিরুল ইসলাম নাহিদ। নাহিদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশের গাড়ি, একটি মোটরসাইকেল, তিনটি দোকান ভাঙচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে, বিএনপির এ হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহম্মদপুর বাজারে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। তখন পুলিশ বিএনপির কর্মীদের ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় উজ্জ্বল নামে এক কর্মীকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মৈমুর মৃধা পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলের আঘাতে বিএনপির কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উল ইসলাম জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মহম্মদপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রতন মোল্লা এবং ছাত্রনেতা নবিরুল ইসলাম নাহিদ। এরমধ্যে নাহিদ যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার দাবি, পুলিশের ছোড়া গুলিতে তারাসহ বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।