মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজের শুরুতেই মহেশপুর উপজেলায় কাবিখা প্রকল্পে শ্রমিকের বদলে নিয়ম বহির্ভুতভাবে মাটি কাটার এস্কেভেটর দিয়ে রাস্তা সংস্কার করার অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তাদের বিরুদ্ধে। নিয়ম বহির্ভুতভাবে শ্রমিকের বদলে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে এ রাস্তা সংস্কার করার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা জানান, গত দু’ মাস ধরে নিয়ম বহির্ভুতভাবে এস্কেভেটর মেশিন দিয়েই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামীণ রাস্তা সংস্কার করে চলেছেন প্রকল্পটির সভাপতি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে মহেশপুর উপজেলায় প্রথম পর্যায় কাবিটা’র বিশেষ বরাদ্দে ১৯টি প্রকল্পে ৫১ লাখ ৭৬ হাজার ৯শ’ ২৪ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এছাড়া কাবিখা’র ১১টি প্রকল্পে ১০৫.৯৪৪ মে.টন চাল এবং ৯টি প্রকল্পে ৯৯.৯৯৪ মে.টন গম বরাদ্দ দেয়। এছাড়া সাধারণ বরাদ্দে ৪২টি প্রকল্পে ৪১ লাখ ৯২ হাজার ৬১১টাকা বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে চাল ৮৮ মে.টন। গম ৮৮ মে.টন। মহেশপুর উপজেলার মোট ৮১টি প্রকল্প দেখভাল করার দায়িত্ব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেরুননেছার।
এ বছর মাঠ পর্যায়ে কোন শ্রমিক দিয়ে কাজ করা হয়নি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকদের সর্দার রোহিত কুমার বলেন, এ বছর তাদেরকে কাজে নেয়া হয়নি। তিনি প্রায় ২০০ শ্রমিক পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, পিআইও তার অফিসের পিয়ন মনির হোসেনকে দিয়ে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে প্রকল্পের রাস্তাগুলি যেনতেনভাবে শেষ করেছেন।
প্রকল্পের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করলে অধিকাংশ প্রকল্পের সভাপতি সেক্রেটারিগণ জানান, তাদেরকে নামে মাত্র সভাপতি সেক্রেটারি করা হয়েছে সব কাজ পিআইও অফিস করে। এদিকে এই অফিসকে কেন্দ্র করে ডিও সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
নেতৃত্বে আছে বজরাপুর গ্রামের দিপু হালদার। তিনি পিআইও অফিসের ডিও বেচা-কেনার কথা স্বীকার করেন।