মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুপক্ষে সংঘর্ষের পরদিন আতর আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এর জেরে ১৫টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়েছে আতর আলীর পক্ষের লোকজন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের মনিরামপুর মধ্যপাড়ায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় প্রায় ১৫টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এদিকে পুলিশ এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে আটক করেছে। এরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ নেতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা, সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত, মনিরামপুর গ্রামের জাহিদ হাসান, মহিদুল্লাহ ফকির, বড়জোকা গ্রামের মুরাদ মোল্ল্যা, ডহরসিংড়া গ্রামের আশরাফুল হক লাভলু, বেরইলপলিতা গ্রামের ফাতুয়ার রহমান, রুপাটি গ্রামের আমিরুল ইসলাম, শ্রীপুর থানার নাকোল গ্রামের ফারুক মোল্ল্যা, তরিকুল ইসলাম এবং আবু হুরাইরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনিরামপুর গ্রামের মুরাদ মোল্লা এবং মান্নান মোল্লা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার সাহেব ফকির ও শহীদ ফকিরের জমি মাপাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে বুধবার ইফতারের আগে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই ঘটনার রেশ ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মান্নান মোল্লা গ্রুপের সমর্থক আতর আলীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে মুরাদ মোল্লার লোকজন। তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা প্রতিপক্ষের ১৫ বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমউল্লাহ বলেন, সামাজিক দলাদলি নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
