মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরায় এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে লিচুতে রঙ ধরায় গাছ থেকে লিচু নামানো শুরু হয়েছে। কিছু লিচু স্থানীয় বাজারে বিক্রি হলেও বেশির ভাগ লিচু বিক্রির জন্য ফরিদপুর, যশোর ও ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে বলে জানান চাষিরা। এ বছর অন্তত ২০- ২২ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লিচু ব্যবসায়ী ও চাষিরা।
চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে সদরের বেলনগর, রামনগর, শিবরামপুর, হাজরাপুর, হাজিপুর, বারাশিয়া, রাঘবদাইড়, ইছাখাদা, মিঠাপুর, গাঙ্গনালিয়া, খালিমপুর, মির্জাপুর, পাকাকাঞ্চনপুর, বীরপুর, রাউতড়া, বামনপুর, আলমখালি, বেরইল, লক্ষ্মিপুর, আলাইপুর, নড়িহাটি সহ ৩০টি গ্রামের চাষিরা গত ২ দশক ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৩ শতাধিক চাষিরা লিচুর চাষ করে থাকেন।
এ সমস্ত এলাকায় ৩ হাজারেও বেশি বাগান রয়েছে। যেখানে দেশি জাতের পাশাাপাশি বোম্বাই ও চায়না-৩ জাতের লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে। এরইমধ্যে দেশি জাতের স্থানীয় লিচু বাজারে উঠতে শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন বাজারে প্রতি শত লিচু দেড় থেকে দুই শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মাগুরা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় মোট লিচুর আবাদ হয়েছে ৬৩৯ হেক্টর জমিতে। চাষিরা এবার স্থানীয় জাত হাজরাপুরী, মোজাফফরী, বোম্বায়, চায়না-৩ সহ বিভিন্ন জাতের লিচু আবাদ করেছে। জেলার চার উপজেলার মধ্যে সদরে সবচেয়ে বেশি লিচুর আবাদ হয়ে থাকে। এরইমধ্যে লিচু পাকতে শুরু করায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিনতে আসছেন ব্যাপারীরা।
মাগুরা সদরের ইছাখাদা গ্রামকে বলা হয়ে থাকে লিচুর গ্রাম। এবার বাগানের প্রতিটি গাছে তুলনামূলক লিচু থাকাতে চাষিরা রয়েছেন খুশিতে। এবার জেলায় ৮ হাজার টন লিচু উৎপাদন হবে। ২০ কোটি টাকার লিচু কেনাবেচা হবে। এতে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভের মুখ দেখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি বিভাগ।
সদরের ইছাখাদা গ্রামের লিচু চাষি কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ১ টি বাগানে মোট ১১৪ টা লিচু গাছ রয়েছে। বাগানের প্রতিটি লিচু গাছে এবার লিচু হয়েছে। প্রতিটি গাছে ফল থাকাতে আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা তেমন নেই। লিচুর মুকুল আসার আগে নিয়মিত সেচ ও সার প্রদান করে এসেছি। মুকুল শেষে লিচু ফল যখন একটু একটু বড় হতে থাকে ঠিক তখনই বৃষ্টি পেয়ে লিচুর জন্য অনেক উপকার হয়েছে। গত বছর প্রচণ্ড খরায় লিচু ফেটে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাপে পুড়ে লিচুর রং নষ্ট হয়ে ফলন বিপর্যয় হয়েছিল। এবার জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
সদরের হাজরাপুর ইউপির মিঠাপুর গ্রামের তাসলিমা আক্তার তনু বলেন, আমাদের ১৫৯টি লিচু গাছ আছে। প্রতিটি গাছে ভালো লিচু ধরেছে। এরইমধ্যে বিক্রি শুরু করা হয়েছে। আশা করছি ৩ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হবে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, জেলায় মোট ৬৩৯ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। এবার নিদিষ্ট সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়াতে লিচু নষ্ট হয়নি। আমরা লিচু চাষিদের নিয়মিত ফ্রেশ পানি দিয়ে সেচ ও গাছের গোড়ায়, পাতায় এবং ফলে স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছি।
সর্বশেষ
- শংকরপুরে এমপি প্রার্থী সাবিরা নাজমুলের কর্মী সমাবেশ
- ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে যশোরে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম
- ‘দুর্বল’ সরকারকে হুমকি ধামকি না দিয়ে ভোটে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
- বোরকা ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি নেই আফগান নারীদের
- কনটেন্ট ক্রিয়েটর মেরিয়েমকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা
- উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
- যশোরে আওয়ামী লীগের তিন কর্মীর বাড়িতে ককটেল হামলা
- দেশের সব বিমানবন্দরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
