নিজস্ব প্রতিবেদক
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় যশোরে প্লট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মালেকের (৫৫) দুই পা কুপিয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে যশোর শহরের আরবপুর দীঘিরপাড় এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আব্দুল মালেকের ছেলে আমান উল্লাহ শনিবার পাঁচ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলো, আরবপুর দিঘীরপাড় এলাকার মৃত আইয়ুব আলী বিশ্বাসের ছেলে মামুন (৩৫), মৃত রাজু আহমেদের ছেলে রাকিব (২৭), মৃত শেখ আবুল কাশেমের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৫২), সোহরাব হোসেনের ছেলে জাকারিয়া ওরফে জাকার (২৮) এবং আলমগীর হোসেনের ছেলে রাব্বি (২৫)।
হামলার শিকার আব্দুল মালেক (৫৫) আইডিয়াল সিটি মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও উপশহর আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক, সদর উপজেলার আরবপুর এলাকার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে। আব্দুল মালেককে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আমান উল্লাহ এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা ওই এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। সে কারণে তার পিতা তাদের নিষেধ করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়। তারা নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকে। গত শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে আরবপুর আইডিয়াল মসজিদের পাশ গেলে আসামিরা তার পিতার ওপর হামলা চালায়। তার হাতে ও দুই পায়ে একাধিক কোপ মারে। এতে তার দুই পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সংবাদ পেয়ে তিনিসহ অন্যান্য লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করলে ওই রাতেই তিনি তাতে ঢাকায় নিয়ে যান।
আইডিয়াল সিটি মালিক সমিতির সভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার এশার নামাজের পরে আরবপুর দীঘিরপাড় মসজিদের সামনে থেকে আব্দুল মালেক ধরে নিয়ে যায় স্থানীয় সন্ত্রাসী মামুনের নেতৃত্বে ৭/৮জন। এই সন্ত্রাসীরা আইডিয়াল সিটি মালিক সমিতির কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা আমাদের প্লটে বসে মাদক সেবন এবং স্থানীয়দের বিরক্ত করতো। এজন্য আইডিয়াল সিটি মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মালেক থানায় মামলা করেন। মামলা করার কারণে তাকে ধরে নিয়ে যেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুই পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, আইডিয়াল সিটি মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও উপশহর আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মালেকের কাছে প্রায়ই চাঁদা দাবি করতো একটি সন্ত্রাসী চক্র। চাঁদা না দেয়ার কারণে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তার উপর এ হামলা হতে পারে।
যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল রাজ্জাক বলেন, আব্দুল মালেক নামে একজনের দু’পায়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার কারণ উদঘাটন ও হামলাকারীদের আটকের জন্য অভিযান অব্যহত রেখেছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।