উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত
ঢাকা অফিস
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হলেই, তিনি নির্বাচনে প্রার্থিতা ও সরকারি চাকরিতে আবেদনের যোগ্যতা হারাবেন। এই বিধান যুক্ত করে সংশ্লিষ্ট আইনের তৃতীয় সংশোধনীর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ-সংক্রান্ত ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) (থার্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত হবেন, তাঁরা কোনো নির্বাচন করতে পারবেন না। আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অধ্যাদেশটির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টে সেকশন ২০ (সি) যুক্ত করা হয়েছে।
‘নতুন সংযোজিত ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত আইনের সেকশন ৯(১)-এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র, ফরমাল চার্জ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা কমিশনের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। এমনকি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ারও অযোগ্য হবেন।’