নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ আদালত থেকে মামলার রায় পক্ষে এনে দেয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার যশোরের কেশবপুরের বিদ্যানন্দকাটি গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে কাইয়ুম হোসেন এ মামলা করেছন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরমান হোসেন অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, খুলনা ডুমুরিয়ার নুরানিয়া গ্রামের আশরাফ আলী, ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম ও কেশবপুরের বুরুলী গ্রারেম খালেক কাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম কাজী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, কাইয়ুম হোসেন কেশবপুরের মঙ্গলকোট বাজারে সিদ্দিকিয়া কম্পিউটারের দোকানে কাজ করতো। দোকানে একদিন আসামি মুজাহিদুলের সাথে তার পরিচয় হয়। মুজাহিদুল নিজেকে শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। এরপর থেকে মুজাহিদুল মাঝেমধ্যে কাইয়ুমের সাথে মোবাইলে কথাবার্তা বলত। এরমধ্যে কাইয়ুমের পৈত্রিক জমি নিয়ে করা মামলায় রায় তাদের বিপক্ষে চলে যায়। এতে কাইয়ুমসহ পরিবারের লোকজন বেশ হতাশ হয়ে পড়ে। বিষয়টি মুজাহিদুল জানতে পেরে চলতি বছরের ১১ ফেব্রæয়ারি তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করে তাদের পক্ষে রায় এনে দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়। মোজাহিদুলের কথা বিশ্বাস করে নি¤œ আদালতের রায়ে বিপক্ষে আপিল ও রায় পক্ষে এনে দেয়ার কথা বলে অপর দুই আসামির সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় নগদ, বিকাশ ও বাড়িতে যেয়ে ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। এরমধ্যে কাইয়ুম ও তার পরিবারের লোকজন আদালতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মোজাহিদুল আদালতে কোন আপিল করেনি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মুজাহিদুল ইসলাম অপর আসামি নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে এভাবে প্রতারণা করে লোকজনের টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ২৯ এপ্রিল আসামিদের বাড়িতে ডেকে টাকা ফেতর চাইলে দিতে অস্বীকার করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।