নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের কেশবপুরে প্রায় চার বছর আগে করা মামলা তুলে নিতে পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারটির দাবি, প্রতারণা করে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার জন্য ‘হত্যা’ চেষ্টার সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ সুযোগে আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। দিচ্ছে প্রাণনাশের হুমকিও। এর জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
মামলা সূত্র মতে, কেশবপুর উপজেলায় ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বরে বাদী আলাউদ্দীন মোড়ল, রায়হান মোড়ল ও মনিরুল ইসলাম মোড়লসহ আরও দুইজন মিলে ‘মেসাস জামান ব্রিকস’ নামে একটি ইটভাটা প্রতিষ্ঠা করে। এ ইট ভাটায় আলাউদ্দীন মোড়ল ৩০ শতাংশ অংশিদার। বিভিন্ন সময় ৩৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। আর এ ভাটার ইট বিক্রিসহ মালামাল ক্রয়ের সকল হিসাব নিকাশ ও কেনাকাটার দায়িত্বে থাকেন কামরুজ্জামান মোড়ল, রায়হান মোড়ল ও মমতাজ বেগম। ফলে তাদের কাছে থেকে প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিকাশ চাওয়া হলে তালবাহানা করে। এজন্য তারা মারপিট ও প্রাণ নাশের হুমকিও দেয়। পরে হিসাব নিকাশ নিয়ে সালিশ ডাকা হয়। সেই সালিশে গালিগালাজ এবং টাকার হিসাব দিতে পারবে না জানিয়ে দেয়া হয়। গালাগালি দিতে নিষেধ করা হলে ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম মোড়লের ছেলে কামরুজ্জামান মোড়ল, মৃত ইসমাইল মোড়া ছেলে রায়হান মোড়ল, কওছার আলী মোড়লের ছেলে মনিরুল ইসলাম মোড়ল, মনিরুল মোড়ল ছেলে রাশেদ মোড়ল ও স্ত্রী মমতাজ বেগম, কামরুজ্জামান মোড়লের স্ত্রী শান্তা খাতুনসহ ৪/৫জন দেশীয় অস্ত্র দা, রোড, লাটি দিয়ে বাদী আলাউদ্দীন মোড়লের উপরে হামলা চালায়। এসময় আলাউদ্দীনের বড় ছেলে ও ছোট ছেলে ঠেকাতে গেলে তাদের অস্ত্র দিয়ে মারপিট ও জখম করে। আর আলাউদ্দীনের মাথায় সাবল দিয়ে আঘাত করে। এবং ঠেকাতে গেলে পায়ে আঘাত করে হাটুর মালা ভেঙ্গে দেন এবং ডিলারশীপের ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।
বাদী ছোট ছেলে ওহিদুজ্জামান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিরা প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ধরছে না। এমনকি আসামিরা চলমান মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
কেশবপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাণনাশের হুমকি অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো। এছাড়া ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি।
