নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের বেজপাড়া মসজিদ বাড়ির আব্দুল মালেক ২৮ লাখ টাকা ‘পেতেন’ নাজির উদ্দিনের কাছে। এজন্য তিনি ৭ ডিসেম্বর যশোর আদালতে মামলা করেন। এতে আসামিরা হুমকি দিলে ১৫ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করেন। এছাড়া তিনি ঢাকায় আরো একটি মামলা করেন। এতে ‘ষড়যন্ত্র’ শুরু করেন আসামিরা। এখন তার কাছেই ৭০ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে উল্টো মামলা করেছেন আসামি নাজির উদ্দিন। দৈনিক কল্যাণে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানতে পেরে আব্দুল মালেক হতবাক হয়েছেন।
তিনি পত্রিকা দপ্তরে এসে দাবি করেন, আমি ১৫ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করেন। মামলায় ২ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে সদরের গোপালপুর গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে নাজির উদ্দিন (৫৭) ও একই গ্রামের মৃত করিম মোড়লের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫)। এর আগে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর আদালতে আরো একটি মামলা করলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়। রোববার আদালতে মামলার শুনানির দিন ছিল। এ দিন আসামি পক্ষের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন।
মামলায় আব্দুল মালেক বলেন, আসামিরা আমার ২৮ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪০৬/৪২০/৩৪ ধারায় সি আর- ২৫৫৬/২০২২ মামলা করি এবং ওই মামলা পরিচালনা করে আসছি। এতে আসামিরা আমার উপর প্রচ- ক্ষিপ্ত হয়। তারা ১৪ ডিসেম্বর আমার বাড়ি এসে মারপিটের জন্য উদ্যত্ত হয় ও গালিগালাজ করে। আমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যায়। চলে যাওয়ার সময় আমাকে খুন জখমের হুমকি দেয়। রাজারহাট চামড়ার হাটে গেলে দেখে নেবে বলেছিল। আমার বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে এবং বাড়িতে অস্ত্র রেখে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কথা বলতে বলতে চলে যায়। তাদের সাথে মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা করা হয়। মামলা থেকে রক্ষা পেতে আসামি নাজির উদ্দিন ৭০ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছেন।