কল্যাণ ডেস্ক: মার্চ-এপ্রিলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশে বেড়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ শঙ্কার কথা তুলে ধরেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি, মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে; গত দুই বছরের চিন্তা যদি আমরা করে থাকি। এ কারণে আমরা সারা দেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা জোরদারের জন্য কাজ করছি।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন এখন নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার বিস্তার রুখতে পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে এরই মধ্যে আবার বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষের চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। করোনার ডেলটা ধরনের বিপর্যয় পার করে আসা ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সম্প্রতি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৮০ শতাংশের বেশির ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে গত বছরের মাঝামাঝি দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেওয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে। গত ডিসেম্বরের প্রথম কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা শনাক্ত ১ শতাংশের ঘরেই ছিল। কিছুদিন ধরে সংক্রমণে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
গত বছরের জুন-জুলাইয়ে ডেলটা ধরনের সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ের পৌঁছালে চাহিদার তুলনায় অক্সিজেনের সরবরাহ কম ছিল উল্লেখ করে খুরশীদ আলম বলেন, বর্তমানে ৪০টি হাসপাতালে অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই ৪০টি ছাড়াও বিভিন্ন উৎস থেকে আরও কিছু অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।’
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ওমিক্রন নিয়ে সারা দুনিয়াতেই একটি আশঙ্কা আছে। আমরাও ভীত।