নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি। এরই মধ্যে প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা। গতকাল সোমবার জেলা জজ আদালত থেকে জামিন পান ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল লিডার মিজানুর রহমান খান। এদিন বিকালেই তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে নির্বাচনীকাজে যুক্ত হন। এতে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন প্যানেলটির প্রার্থীরা।
তারা বলছেন, আমাদের প্যানেল লিডার মিজানুর রহমান খানকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা মামলায় ১৭ দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছিল। গতকাল তিনি জামিন পেয়েছেন। এতে প্যানেলটির গতি আরও বেড়েছে। আমরা আশা করছি ভোটাররা ব্যালটে এর জবাব দেবেন।
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল লিডার ও যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান গতকাল জামিন পাওয়ার পর জানান, আমাকে চেম্বারের নির্বাচন থেকে দূর রাখতে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামালায় আটক করা হয়েছিল। ১৭ দিন জেলে থাকার কারণে প্রচার প্রচারণা করতে পারেনি।
তবে আমার প্যানেলের প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বলেন, ইতিহাস বলে কখনও জেলে আটকিয়ে রেখে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া যায় না। তেমনি চেম্বারের ভোটে ব্যবসায়ীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। আমি আশাবাদী আামকে মিথ্যা মামলায় কারাবরণের জবাব আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটে ব্যালটে দেবেন ভোটাররা।
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী শেখ আতিকুর বাবু জানান, আমরা সোমবার শহরের এইচএমএম রোড, হাটখোলা সড়ক, চাঁচড়া, বকচর, মুড়লীর মোড় ও অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি। এসব এলাকার ভোটাররা আমাদের সাথে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। একই সাথে আমাদের প্যানেল লিডার মিজানুর রহমান খান গতকাল জামিনে মুক্তি পাবার পর আমাদের মনোবল বেড়েছে। সব প্রার্থীরা উজ্জীবিত।
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ বিজয় লাভ করলে বেনাপোল স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীদের হয়রানি, কর জটিলতার সমাধানসহ ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন।
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবু, সাজ্জাদুর রহমান সুজা ও ইদুল চাকলাদার।
সাধারণ সদস্য পদে আরও নির্বাচন করছেন, নাসিব যশোরের সভাপতি সাকির আলী, শাহিনুর রহমান ঠান্ডু, সায়েম সিদ্দিক, মকছেদ আলী, রিপন অটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দৈনিক কল্যাণের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এজাজ উদ্দিন টিপু এবং খায়রুল কবীর চঞ্চল।
এছাড়াও সহযোগী সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্যানেলটিতে রয়েছেন, সৈয়দ শাহজাহান আলী খোকন, সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, তৌহিদুর রহমান বাবু, আজিজুর রহমান খান, ইদ্রিস আলী ও রিজভি জাহাঙ্গীর কিবরিয়া।
নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ আট বছর ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি নিস্ক্রিয় অবস্থায় ছিল। নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
অপর প্যানেল ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন সংস্থার সাবেক নির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবীর কবু-মিজানুর রহমান ও আসাদুজামান মিঠু।
ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের প্যানেল লিডার হুমায়ন কবীর কবু বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি ভোটাররা আমাদেরকে বিজয়ী করবেন।