নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরতলীর হামিদপুরের মৃত শহীদ উদ্দিন আহমেদের ছেলে আসাদুজ্জামানকে (৭২) আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের (৭২) নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়ায় এ মামলা করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, নুরুল ইসলাম একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। ন্যাপ (মোজাফ্ফর) রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য। এছাড়া যশোর চেম্বার অব কমার্স এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং যশোর এমএম কলেজ ছাত্র সংসদের ১৯৬২ সালের সাবেক নির্বাচিত জিএস। আসামি আসাদুজ্জামান ভুক্তভোগী নুরুল ইসলামের যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর মৌজার ৩৫ বিঘা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ জোর করে দখল করে রয়েছে। আইনগত পদ্ধতি অনুসরণ করে নুরুল ইসলাম ওই জমি দখল করলে আসাদুজ্জামান বিভিন্নভাবে বাদীর ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আসাদুজ্জামান গত ৩০ জুন প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও আসামি আসাদুজ্জামান নিজেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে আসাদুজ্জামান আরও উল্লেখ করেন তার বসতবাড়ি স্কেভেটর দিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এজাহারে দাবি করেন, আসাদুজ্জামান অভিযোগের সাথে যে কপি সংযুক্ত করেছেন তাতে বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সম্পর্ক নেই। একইসাথে নুরুল ইসলামের বিয়াই মামলার দুই নম্বর সাক্ষী জেলা আওয়ালী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধভ শহিদুল ইসলাম মিলন ও তার ছেলে সামির ইসলাম পিয়াস ও ছেলে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজাহিদের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকদের কাছ থেকে অভিযোগের কপি সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে তিনি থানায় অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আদালতে এ মামলা করেছেন।