এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা
ফুলের রাজধানী হিসেবে খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছায় এবার প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চায়না-থ্রি জাতের কমলার চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রবাস ফেরত মিন্টু মিয়া। ইউটিউব দেখে করা চাষে ব্যাপক লাভবানের আশা করছেন প্রবাস ফেরত এই যুবক। মিন্টু গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের শ্রীচন্দ্রপুরের গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, মিন্টু দীর্ঘদিন প্রবাস থেকে দেশে ফিরে ইউটিউব দেখে ৮২ শতক জমিতে চায়না কমলা চাষ শুরু করেন। ২০২০ সালে ২৭৭টি চায়না কমলার চারা রোপণ করেন। সে সময়ে চারা কেনা-রোপণ করা, বেড়া দেওয়া, মজুরিসহ খরচ হয় দেড় লাখ টাকা। চারা লাগানোর দুই বছর পরে গাছে ফল আসে। তিন বছর ধরে কমলা বিক্রি করছেন। এখন ক্ষেতে গাছ আছে ২৪০টি। প্রতি বছর ৭-৮ লাখ টাকার কমলা বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিন্টুর ক্ষেতে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে নজরকাড়া ছোট-ছোট হলুদ রঙের কমলা। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এ বছর ৭ লাখ টাকার মতো বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে দুই লাখ টাকার কমলা বিক্রি করা হয়েছে।
মিন্টু মিয়া বলেন, আমি ইউটিউব দেখে চায়না-থ্রি জাতের কমলা চাষ করার পরিকল্পনা করি। এরপর কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ চাষ শুরু করি। এ বছর যে পরিমাণ ফলন এসেছে আশা করছি, বাগান থেকে ৭ লাখ টাকার মতো কমলা বিক্রি করতে পারবো। প্রতি বছর পরিচর্যা, কীটনাশকসহ খরচ হয় ৮০-৯০ হাজার আর ফল বিক্রি হবে ৭-৮ লাখ টাকার।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রবাসফেরত মিন্টু এখন সফল। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। এ কমলা চাষে আমদানি কমবে মানুষ দেশীয় ফল খেতে পারবেন।
