নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে সমাবেশে বোমা হামলা, মারপিট ও ভাংচুরের দেড় মাস পরে থানায় মামলা হয়েছে। গত ৪ আগস্ট সদর উপজেলার মিরা লাউখালী গ্রামে ঈদগাহ মাঠে হামলার ঘটনা ঘটে। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গত শনিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেছেন।
আসামিরা হলেন, মুরাদগড় গ্রামের সাজেদুল হাসান মিন্টু, মথুরাপুরের শাজাহান আলী, ঠান্ডু, উত্তর ললিতাদহের আব্দুর রহিম, সোহাগ, মিলন হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, হারুন, আবু সাইদ, শিমুল গাজী, বালিয়াঘাট-লাউখালীর আবু কালাম, শিমুল হোসেন, কিসমত গ্রামের ইসহক চাকলাদার, কামরুল ইসলাম, মশিয়ার রহমান, ভগলপুরের লাভলু, জিয়া, মতিন, রসুলপুরের বিল্লাল হোসেন, টুটুল হোসেন, লাউখালীর খলিল, আনিসুর রহমান, জসিম উদ্দিন, হৈবতপুরের বাবলু, তীরেরহাটের আলমগীর হোসেন, রহমতপুরের জসিম উদ্দিন, নাটুয়াপাড়ার মহাসিন আলী, ঝাউদিয়ার হান্নান হোসেন, বানিয়ালির মোস্তফা, দৌলতদিহির রেজাউল ইসলাম, মহিউদ্দিন ফেরদৌস, মথুরাপুরের ঠান্ডু, কামরুল ইসলাম, শহর আলী, আনোয়ার হোসেন, শিমুল গাজী, নিশ্চিন্তপুরের ওসমান গণি, শাহবাজপুরের জাহাঙ্গীর হোসেন, জোড়াদহ- হৈবতপুরের শহিদুল ইসলাম, সোহরাব, রসুলপুরের আলতাফ হোসেন, বড় হৈবতপুরের শরিফুল ইসলাম, নাটুয়াপাড়ার লান্টু হোসেন ও আব্দুল আজিজ। বাদী গিয়াস উদ্দিন মামলায় বলেছেন, গত ৪ আগস্ট মিরা লাউখালী গ্রামে ঈদগাহ মাঠে বিকেল তিনটার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ চলাকালে আসামি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ি বিভিন্ন ধরনের দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা, ভাংচুর ও মারপিট করে। একই সময়ে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় চেয়ার, টেবিল ও মাইক ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।