চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
মাহাবুবুর রহমান (২৭)। বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তার। অন্য থানার হাসপাতালে নেয়ায় মৃতদেহ নিয়ে বিপাকে পড়েন স্বজনরা। দুই থানার আইনি জটিলতা কাটাতে দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয় স্বজনদের। আর এতেই মৃতদেহ হাসপাতালেই পড়ে থাকে ২৪ ঘন্টা!
মাহাবুবুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মগধসপুর গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার বিকেলে বাবার সাথে সবজি ক্ষেত পরিচর্যা করতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হন তিনি। এ ঘটনায় তার বাবাও আহত হন। এদিন রাত ৮ টার দিকে যশোরের চৌগাছা হাসপাতালে মৃত্যু হয় মাহাবুবুর রহমানের।
স্বজনরা জানান, শুক্রবার বিকেলে বাবা-ছেলে বজ্রপাতে আহত হলে তাদেরকে উদ্ধার করে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মাহাবুবুর রহমানের অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্বজনরা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পথে অবস্থা আরো গুরুতর হলে নিকটবর্তী চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরে শুরু হয় দুই থানায় দৌঁড়াদৌঁড়ি। আর দুই থানার আইনি জটিলতা কাটাতে লেগে যায় ২৪ ঘন্টা। অসুস্থ বাবা মহেশপুর হাসপাতালে থাকলেও ছেলের মৃতদেহ পড়ে থাকে চৌগাছা হাসপাতালে! একপর্যায়ে শনিবার বিকেলে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে চৌগাছা থানা।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, আমরা রাতেই বিষয়টি মহেশপুর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো গুরুত্ব দেননি। বজ্রপাতে মৃতদেহ নিয়ে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা বসে থাকা খুবই দুঃখজনক। রাত ৮টার ঘটনা মহেশপুর থানায় জিডি করেছেন পরের দিন সকাল ১০ টায়। যে কারণে এত দেরি হয়েছে।
মহেশপুর থানার ওসি খন্দকার শামিম উদ্দীন বলেন, আমি ট্রেনিংয়ে রয়েছি। তারপরেও চৌগাছা থানার ম্যাসেজ রাতেই রিপ্লাই দিয়েছি। তিনি বলেন, লাশ চৌগাছায়। আমার কারনে দেরি হবে কেনো। এটা সম্পূর্ণ চৌগাছা থানার ব্যাপার।