নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের সেই মেয়াদোত্তীর্ণ আংশিক পাঁচ উপজেলা ও পৌর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে আজ বুধবার বিকালে যশোর সার্কিট হাউজে এ সভার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন। এর আগে বিভিন্ন সময় পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ক্ষোভ, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একাংশের কমিটি প্রকাশ ও অন্য অংশের কমিটি অনুমোদন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কল্যাণ। এর পর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে উদ্যোগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, নতুন করে সম্মেলন না দিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ নেতাদের মাধ্যমে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার উদ্যোগে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এতে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ হতে যাওয়া কমিটিতে কাঙ্খিত পদ না পাওয়ারও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, আংশিক কমিটিতেই ৯ বছর পার হয়ে গেল ঝিকরগাছা উপজেলা কমিটি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে পুরোনোরাই এভাবে হয়তো আরও ৯ বছর একই পদে থেকে যাওয়ার চিন্তা করবেন। তাহলে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে কীভাবে? সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, শাখা সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভা আহ্বান করেছে। তাকে উপস্থিত থাকতে বলেছেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় তারা ইউনিয়ন কমিটি গঠনের কাজ শুরু করতে পারেননি।
যত দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে ততই ভাল। মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলু বলেন, দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় দলের জন্য ক্ষতি হচ্ছে। নেতৃত্ব সংকটেও পড়েছে। নির্বাচনের বছর কমিটি হোক। তবে যোগ্যদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে দাবি করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কেন্দ্রের নির্দেশ রয়েছে। এজন্য সভা আহ্বান করা হয়েছে। যশোর সদর ও পৌর, মণিরামপুর, অভয়নগর, বাঘারপাড়া ও ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: যশোরের ৬ ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ফের উদ্যোগ