নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক যুবককে অপহরণ, মারধর ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে হিজড়াসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার গভীর রাতে শহরের খালধার রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা হলো, লোন অফিস পাড়াস্থ আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের জনৈক অলিয়ার রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া সুকুমার বিশ্বাসের সন্তান মুক্ত কুমার বিশ্বাস ওরফে অনিক (২৩), কাঠেরপুর মসজিদের পেছনের জসিম মোল্লার ছেলে লিমন মোল্লা (১৯), বারান্দী খালধার রোডের রবিউল ইসলামের ছেলে হাসিব কাজী (১৯), লোন অফিস পাড়ার শেখ আমিন উদ্দিনের ছেলে শেখ আব্দুল্লাহ আল কাফী (১৯), রফিকুল ইসলাম লিটনের ছেলে তাইম ওরফে তানভীর এলাহী তাহিন (১৯), জামাল ফারাজীর ছেলে মুন্না হোসেন (১৯), লোন অফিস পাড়াস্থ আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের পাশের রাজ্জাক হোসেনের ছেলে শাহাজুল ইসলাম (২০), পূর্ব বারান্দী মাঠপাড়ার জসিম হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে রায়হান (১৯) ও মোল্লাপাড়া বাঁশতলা এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে আকাশ বিশ্বাস (১৯)।
কোতোয়ালি থানা পুুলিশের এসআই ইয়াসিফ আকবর জয় জানান, ঝিকরগাছা উপজেলার জামালপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় অনিকের। এ সময় অনিক নিজেকে মেয়ে হিসেবে পরিচয় দেয়। আসলে অনিক হিজড়া। কিন্তু মেয়ে ভেবে তার সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন জাহাঙ্গীর। গত রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যশোর শহরের লোন অফিস পাড়াস্থ আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে আসেন তিনি। এ সময় তিনি দেখতে পান, মেয়ে ভেবে যার সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন সে হিজড়া। এ কারণে জাহাঙ্গীর সেখান থেকে চলে আসার চেষ্টা করলে হিজড়া অনিকের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা জাহাঙ্গীরকে অপহরণ করে সিঅ্যান্ডবি স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতর নিয়ে যায়। তারা তাকে আটকে রেখে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু তিনি টাকা দিতে রাজি না হলে তারা তাকে মারধর করে ৯ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এরই এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে এসে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে খালধার রোডের জনৈক আকবর আলীর ১০ তলা ভবনের সামনে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর ১২ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।