নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর ডিবি পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে চোরাই ২টি মোটরসাইকেল ও ২টি পিকআপসহ চোরচক্রের ৬ জনকে আটক করেছে। শহরের মুড়লি এলাকা এবং চুয়াডাঙ্গা থেকে তাদের আটক করা হয়।
ডিবি পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তারা গোপন সূত্রে খবর পায়, যশোর শহরের মুড়লিস্থ দানবীর হাজী মুহাম্মদ মুহাসীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতের জনৈক বাবলু মিস্ত্রির গ্যারেজে কতিপয় ব্যক্তি চোরাই মিনি ট্রাক বিকিকিনি ও বডি পরিবর্তনের কাজ করছেন। এ খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের এসআই মো. মফিজুল ইসলাম ও এসআই শফি আহমেদ রিয়েল সেখানে অভিযান চালান। এ সময় ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩/৪ জন সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। তবে ডিবি পুলিশ সেখান থেকে ২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতরা হলেন, শরিয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা এলাকার মৃত সামছুল হাওলাদারের ছেলে বর্তমানে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আজিম (৫২) ও শরিয়তপুরের নাড়িয়া উপজেলার নন্দোনস্বর এলাকার বেলায়েত মুন্সীর ছেলে মিন্টু মুন্সী (৩০)। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে তারা স্বীকার করেন, পিকআপটি চোরাই। তারা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ফতেহপুর হরিশ্চর গ্রামের মৃত মোছলেম শেখের ছেলে বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা পান্নু শেখের কাছ থেকে কম দামে ক্রয় করেছেন। পিকআপ ক্রয়ের পর তারা বাবলু মিস্ত্রির গ্যারেজে বডির কাজ করাচ্ছিলেন। তাদের আরও একটি পিকআপ মুড়লির জনৈক আরিফের ভাই ভাই গ্যারেজে ডেন্টিং পেন্টিং এর কাজ করতে দিয়েছেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে ভাই ভাই গ্যারেজ থেকে চোরাই আরেকটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। ডিবি পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, আটক দুই জনের কাছ থেকে ৯টি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লেখা ৩টি গাড়ি বিক্রির কাগজ জব্দ করা হয়।
অপরদিকে ডিবি পুলিশের এসআই মো. মফিজুল ইসলাম জানান, অভয়নগর উপজেলার সিরাজকাঠি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোজাহিদুল ইসলামের ১টি এফজেড মোটরসাইকেল সম্প্রতি আমডাঙ্গা থেকে এবং জনৈক শাহারুল ইসলামের ১টি বাজাজ পালসার মোটরসাইকেল দিয়াপাড়া ব্রিজ হতে চুরি হয়ে যায়। এ বিষয়ে তারা অভিযোগ করলে ডিবি পুলিশ চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে দিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে ৩ জনকে ১টি চোরাই মোটরসাইকেল ও মাস্টার চাবিসহ আটক করা হয়। এরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর আমদুলিয়া গ্রামের মঙ্গল আলী ওরফে মকবুলের ছেলে বাদশা মিয়া (২১), নরেন্দ্রপুর পুরাতনপাড়ার মৃত আব্দুল মালেক সরদারের ছেলে রাসেল সরদার (২২) ও বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত আবু সাঈদের ছেলে শুকুর আলীকে (২৯) আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরজগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের আরেক সদস্য সিরাজুল ইসলামকে (২৮) আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে মোজাহিদুল ইসলামের চুরি যাওয়া এফজেড মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং শাহারুল ইসলামের চুরি যাওয়া বাজাজ পালসার মোটরসাইকেল বিক্রির ৩৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। আটক সিরাজুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।