সোলাইমন হাওলাদার, মোড়েলগঞ্জ: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে হত্যা-ডাকাতিসহ ১৮ মামলার আসামি কবির বয়াতি ওরফে কবির ডাকাতের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। চিহ্নিত এ অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার ভাষান্ড গ্রামে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছেন ভূক্তভোগী গ্রামবাসী। এ সময় লিলি বেগম (৪২), কবির বয়াতির বড় ভাই রিয়াজুল ইসলাম বয়াতি (৫৫), অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য বেলায়েত হোসেন হাওলাদার, ইউপি সদস্য গাউসুল হক দুলাল, কৃষক সোহরাব হাওলাদার, ব্যবসায়ী আসাদুল হাওলাদার, ইউপি সদস্য শাহাজাহান মৃধা বলেন, দক্ষিণ সুতালড়ী ভাষান্ডা গ্রামের এলাকার চিহ্নিত অপরাধী কবির বয়াতি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ভাষান্ডা গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় নানা অপরাধ কর্মকা-ে গ্রামবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলছে।
জিউধরা গ্রামের দুলাল জোমাদ্দারের বাড়ি থেকে গরু নিয়ে জবাই করে প্রকাশ্যে বিক্রি করে। এ ঘটনায় দুলালের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হরতকিতলা গ্রামের মামুন শেখের দোকান ভেঙে টিভিসহ মালামাল চুরির ঘটনায় মামুন শেখ মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ কবির বয়াতির সহযোগী রিপন সরদারের বাড়ি থেকে টিভিসহ মালামাল উদ্ধার করে।
চুরি, ডাকাতি, ঘের দখল, সাধারণ মানুষকে মারপিটসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে গ্রামবাসীদের অতিষ্ঠ করে তুলছে কবির ও তার সহযোগীরা। প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এ বিষয়ে ভূক্তভোগীরা থানাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েও এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন তারা। জিউধরা, নিশানবাড়িয়া ও বারইখালী ৩ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৪ গ্রামের জনগুরুত্বপূর্ণ চলাচলের রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে ওই মহলটি।
বারইখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল খান মহারাজ বলেন, ভাষান্ড গ্রামের কবির বয়াতি একজন চিহ্নিত অপরাধী এলাকার সাধারণ মানুষকে অতিষ্ট করে তুলছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকেও তিনি অবহিত করেছেন। এ অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করছেন উর্দ্বতন প্রশাসনের প্রতি তিনি।
থানা অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান বলেন, এলাকার চিহিৃত অপরাধী কবির বয়াতিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোড়েলগঞ্জ ও ফকিরহাট থানায় ৩টি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৮টি মামলা রয়েছে। একটি হত্যা মামলায়ও সে চার্জশিটভূক্ত আসামি।