মুরাদ খান
ক্রিকেট খেলে যে জ্ঞান অর্জন করেছি তা এখন নতুন খেলোয়াড়দের সাথে শেয়ার করি। মানে ক্রিকেট কোচ। বর্তমানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট একাডেমি ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করছি। মাঝে মাঝে অন ফিল্ড নামে একটা অনলাইন প্লাটফর্মে বোলিং নিয়ে বিশ্লেষণ করি। তবে লেখালেখি ওই ভাবে করা হয় না। আমি যা লিখবো তা পাঠযোগ্য করে নেয়ার শর্তে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের বিশ্লেষণ লিখবো।
আমরা প্রথম ইনিংস শেষে মূলত ম্যাচ হেরে গেছি। এর আগে কখনো বাংলাদেশ ৩৫০ রান করতে পারেনি। তারপরও আবার ৫০ রানের আগেই ৪উইকেট হারিয়ে ফেললে ৩৬৫ রান টপকে জেতা প্রায় অসম্ভব।
এদিন আমাদের কোন বিভাগই তাদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারেনি। এজন্য বড় ব্যবধানে হেরেছি। তবে এ হারে আমাদের বিশ^কাপ শেষ হয়ে যায়নি। সামনে এখনো অনেক ম্যাচ আছে। বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে এ বিশ^াস করছি।
বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে কথা বলতে চায়। বাংলাদেশ এমনিতেই ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচে ধারাবাহিক ভালো জায়গায় বল করতে পারেনা। এসব পিসে একটু এদিক ওদিক হলেই বল বাউন্ডারি ছাড়া করে ব্যাটাররা। আজও তাই হয়েছে। তবে বোলাররা ঘুরে দাঁড়িয়েছে অনেক পরে। যখন ইংল্যান্ডের রান ৩০০ পার হয়ে গেছে। এ ধরনের পিচে লেন্থ ও পেসের ভ্যারিয়েশন দিয়ে বল করতে। বাংলাদেশ বোলার এইটা নিয়মিতভাবে করতে পারেনি। যদিও সাকিব মাঝে মাঝে করেছেন। আবার শেখ মেহেদি হাসান শেষের দিকে যেটা করেছিলেন। মেহেদির উইকেটের বেশির ভাগই পেস ভ্যারিয়েশন থেকে এসেছে।
আসলে বাংলাদেশ হেরে গেছে মূলত ৩১-৪০ ওভারে। এ ১০ ওভারে ইংল্যান্ড ২ উইকেট হারিয়ে ১১১ রান করে। ইংল্যান্ড প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৬১ ও পরের ১০ ওভারে তুলতে পারে ৬৭। শেষ ১০ ওভারে ইংল্যান্ড করতে পারে ৬৬ রান। শেষ দিকে শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের রান ৪০০ পার হয়নি।
এ রান তাড়া করে আমাদের জেতার সম্ভাবনা কম ছিল। এটা টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই জানতো। তাই ৪০ ওভার পর্যন্ত আমাদের স্বাভাবিক খেলার দরকার ছিল। শেষ দশ ওভারে হিসেব করে রিস্ক নেয়ার প্রয়োজন ছিল। হারানোর কিছু নেই এ মন্ত্রে ব্যাটারদের দু-একজন বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করতো। যাতে সামনের ম্যাচ গুলোতে কাজে লাগতো।
যাই হোক বাংলাদেশের আগামী ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের সাথে। চেন্নাইয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পিচ অনেক স্পিন সহায়ক ছিল। যদিও এমন পিচে এদিন ম্যাচেও পাওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশের জয়ের ভাল সম্ভাবনা থাকবে।