কল্যাণ ডেস্ক: যক্ষ্মা এমন একটি রোগ, যাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীর। সঠিকভাবে চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। ২০০০ সালের পর থেকে দেশে যক্ষ্মা শনাক্ত, নিয়ন্ত্রণের বরাদ্দ ও বাড়তি মনোযোগ দেওয়া শুরু হয়। সরকারি-বেসরকারি নানা প্রকল্প-কর্মসূচীর বদৌলতে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে বাংলাদেশের।
যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা বা ওষুধের জন্য দেশে রোগীকে কোনো ব্যয় করতে হয় না। বিনামূল্যের এই চিকিৎসা সেবায় দারুণ সাফল্য এসেছে। তবে বরাদ্দের ঘাটতির ফলে এই চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. আলী হোসেন বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আমরা কম অর্থ পাচ্ছি। এ কারণেই পরিপূর্ণভাবে যক্ষার নির্মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউএসএআইডির যে ফান্ড রয়েছে সেই ফান্ডের অর্থ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তানসহ এশিয়ার অনেক দেশেই যায়।
মিরপুর যক্ষ্মারোগ নির্ণয় কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, দেশে বেশিরভাগ যক্ষ্মা রোগীর নিজ খরচে চিকিৎসা চালিয়ে যাবার মতো আর্থিক অবস্থা নেই। কেউ রিকশা চালায়, কেউ বস্তিতে থাকে, কেউ ক্যাম্পে থাকে, কেউ দোকান বা বাসাবাড়িতে কাজ করে। তাদের পক্ষে এই রোগের খরচ বহন করা সম্ভব নয়। কমপক্ষে ৬ মাস যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা চলে, ওষুধ খেতে হয়, যা অনেক ব্যয়বহুল।
গণমাধ্যমকে অধ্যাপক ড. মো. আলী হোসেন বলেন, দেশের যারা বিত্তশালী রয়েছে, স্বাস্থ্যখাতে তাদের সহায়তার পরিমাণ একদম শূন্যই বলা যায়। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে যদি দেশের বিত্তশালীরা অনুদান দেয় তবে বৈদেশিক সহায়তা ছাড়াই এই রোগ পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব।
বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজার যক্ষ্মারোগ মারা যাচ্ছে। সারাবিশ্বে এ সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। সরকারের নানা পদক্ষেপে এই ঘাতক ব্যাধি যক্ষ্মা এখন নিরাময় যোগ্য।
বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রিভালেন্স সার্ভের তথ্য মতে, বর্তমানে প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে যক্ষ্মা রোগী রয়েছেন ২৬০ জন। যা পূর্বের তুলনায় ১৪৪ জন রোগী কমেছে। চিকিৎসার সাফল্যের হার শতকরা ৯৫ ভাগ
আরও পড়ুন: জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ বাড়ল