নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মী ও চাকরিপ্রার্থী অপহরণ মামলার আসামি মোহাম্মাদ রাফিকে কক্ষ থেকে বের করার চেষ্টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহপাঠীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপস্থিত দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাংবাদিককে হেনস্তা করা হয়। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হলের ৩০৯ নম্বর কক্ষে গিয়ে রাফিকে বের করার চেষ্টা করেন। অভিযোগ উঠে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানার অনুসারী ও রাফির সহপাঠীরা এতে বাধা দেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আল মামুন ফরহাদ, কাবিরুল, আবু তাওহিদ বাধন, তুষার ইমরান, আরেফিন, সীমান্ত বিশ্বাস, আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, অজয় বিশ্বাস, অসীম, নাসিম বাহার, আহাদ কাজী, শাহীদুল হক নোমান, আসাদুজ্জামান আশা, ফয়সাল হাবীব, মো. কাবীর, নিপুণ বিশ্বাস, রহমত, শফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
সাম্প্রতিক সময়ে হলে দেয়ালে ছাত্রলীগের স্লোগান লেখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে চালানো পেজ থেকে অস্ত্রের ভিডিও প্রকাশ ও সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা শিক্ষার্থীদের নজরে আসে। এর প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাফিকে হলে অবস্থান থেকে সরানোর উদ্যোগ নেন।
জুলাই বিপ্লব মঞ্চের সভাপতি তপু ইসলাম বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা রক্তে অর্জিত জুলাইকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করব। প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।” এ বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এ. এম. ফরহাদ দাবি করেন, ওই কক্ষে রাফি ছাড়াও অন্য শিক্ষার্থীরা ছিলেন। তাই আন্দোলনকারীদের প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা তা শোনেননি।
হেনস্তার শিকার হওয়া সাংবাদিক জানান, দায়িত্ব পালনের সময় অভিযুক্তদের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ করলে তাকে হেনস্তা করা হয়। হলের প্রভোস্ট ড. মো. মজনুজ্জামান বলেন, “ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রমাণের ভিত্তিতে ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”