নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নতুন প্রশাসনকে চাপে ফেলতে একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে অবৈধ স্বার্থ হাসিলের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর নতুন ভিসি নিয়োগের পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্য পরিচালনার জন্য সিনিয়র ডিনদের মধ্য থেকে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিতে সরকারি পত্র জারি করে। সিনিয়র না হয়েও কৌশলে ভোটের মাধ্যমে পদটি বাগিয়ে নেন অধ্যাপক ড. এইচ এম জাকির হোসেন। পদ পেয়েই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে প্রায় সকল প্রশাসনিক পদে তার পছন্দের ব্যক্তিদের পদায়ন করেন। যাদের অধিকাংশই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত।
বর্তমানে এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন ড. জাকিরের নিয়োগ দেওয়া প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মীর মোশাররফ হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ছাত্রদের ব্যবহার করে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় গত দুই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ড. আমজাদের বিরুদ্ধে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতা, সংঘর্ষে ইন্ধন দেওয়া, ছাত্রীদের উসকে দেওয়া, কর্মচারীদের গালিগালাজ এবং উপাচার্যের উপস্থিতিতে অশিক্ষকসুলভ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, চক্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত যোগ্য এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের হয়রানি করছে। তারা পদোন্নতিতে বাধা, যোগ্যদের প্রশাসনিক পদ না দেওয়া এবং নিজেদের পছন্দের লোকদের পদায়নের জন্য চাপ দিচ্ছেন।
উপাচার্য নিয়োগের পরও ড. জাকির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন তাই করেছি। ক্ষমতার অপব্যবহার করার সুযোগ নেই। তাছাড়া আমি এখন দায়িত্বে নেই। যারা দায়িত্বে আছেন তারা বলতে পারবেন বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদকে বলেন, আপনাদের কি আর কোন কাজ নেই। এইসব অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। এখন আমার কথা বলার সময় নেই। যখন সময় হবে তখন কথা বলবো।