নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বরখাস্ত হওয়া আওয়ামীপন্থি দুজন শিক্ষক ও দুজন কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা হলেন-যবিপ্রবি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ, নীল দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ
মো. গালিব, টেকনিক্যাল অফিসার হেলালুল ইসলাম হেলাল ও সাইফুর রহমান। ড. আমজাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের একশ’ চারতম সভায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক যবিপ্রবি’র কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন এবং সদস্য সচিব উপ-রেজিস্ট্রার মো. ইমদাদুল হক।
সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সায়েন্স রিসার্চ সেন্টারের কাউন্সিলর মেম্বার ও যবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. মো. আলতাফ হোসেন, যবিপ্রবি’র রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. মো. ওমর ফারুক এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ইঞ্জিনিয়ার ড. আমজাদ হোসেন। যবিপ্রবি সূত্রে জানা গেছে, বরখাস্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতর নানা অভিযোগ রয়েছে। সেসব প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সেসব দুর্নীতির সবিস্তার খুঁজে বের করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বরখাস্তদের মধ্যে অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
টেকনিক্যাল অফিসার হেলালুল ইসলামের সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি যবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক, যশোর জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে, সাইফুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আইন সম্পাদক ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার ছিলেন। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর আটক হন মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে।
আরও পড়ুন: আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ৭ বছর পর ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর বিএনপির সম্মেলন