নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল কবির দ্বীপকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। রবিবার সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে একই সঙ্গে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে সুপারিশও করা হয়েছে। তবে বহিস্কারকৃত ছাত্রনেতার দাবি, ‘তার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ভুয়া আইডি থেকে এই পোস্ট করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনি যশোর কোতোয়ালি থানায় জিডিও করেছেন। আর এতোদিন পর বহিস্কার করার পিছনে সভাপতি-সম্পাদকের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
ছাত্রলীগের যবিপ্রতি শাখার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংগঠনের নীতি ও আদর্শবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় তাকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে স্থায়ী বহিষ্কারের অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কী কারণে ইকরামুল কবির দ্বীপকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানাগেছে ছাত্রলীগনেতা ইকরামুল কবির নামে ফেসবুক থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধে কারাদ-প্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে সাঈদীর ছবি দিয়ে সমবেদনা জানিয়ে ওই সময় পোস্ট করা হয়। সেই কারণে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
তবে বহিস্বারকৃত ছাত্রলীগনেতা ইকরামুল কবির দ্বীপ জানিয়েছেন, ‘তার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ভুয়া আইডি থেকে এই পোস্ট করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় জিডিও করা হয়েছে। মূলত বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের সঙ্গে মতাদর্শের বিরোধ থাকাতে ষড়যন্ত্র করে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকাতে সম্প্রতি ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পৃথকভাবে নিয়ে যাওয়াতে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক ক্ষুব্ধ হয়। সেই কারণে চক্রান্ত করে সাঈদীর মৃত্যুর এতোদিন পর আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে। এতোদিন পর বহিস্কার করা রাজনীতিকভাবে উদ্দেশ্যমূলক ছাড়া কিছু না। এই বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের নাম্বারে ফোন করা হলে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।