সড়কে চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ, ফিটনেসবিহীন ও ওভার লোড পরিহার, অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণ করবে প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে সড়ক ও মহাসড়কে জনসাধারণের যাতায়াত নিরাপদ নির্বিঘ্ন করতে যশোর জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ এর যৌথ আয়োজনে এই সভা করা হয়।
সভায় ঈদকে সামনে রেখে সড়ক ও মহাসড়কে চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ, ফিটনেসবিহীন ও ওভার লোড পরিহার, সড়কের পাশে অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ, অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণসহ বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় শ্রমিকনেতা, ব্যবসায়ী সংগঠন, পুলিশ প্রশাসন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ কয়েকটি ইউনিটের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা বলেন, শহরে চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে। ঈদে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান প্রয়োজন। যানজট নিরসনে শহরে রিকসা, ইজিবাইকের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে-ই-আলম সিদ্দিকী, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসিম খান, জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যশোর চেম্বর অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্র্রিটের সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান, জেলা জামায়াতের আমীর গোলাম রসূল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।
জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, শহরে বেশ কিছু স্পট রয়েছে। যেখানে অপরাধ সংগঠিত হয়। পুলিশ প্রশাসনের উচিৎ এই সব জায়গায় নজরদারি বাড়ানো। এছাড়া ছিনতাই, মলমপার্টি রোধে সচেতন হতে হবে। যানবাহনের শ্রমিকদের ডিউটি নির্দিষ্ট করতে হবে। মালিক পক্ষ যেন বাড়তি সময় ডিউটি না করায় এই সব শ্রমিকদের দিয়ে। একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে যেন চালকরা মাদকে জড়িয়ে না পড়ে। তাহলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, শহরের ভিতরে গাড়ির ওভারলোড ও ওভারস্প্রিডের বিষয়টা পুলিশ প্রশাসন নজরদারি করবে। রাত ১১ টার আগে শহরে ভারি যান প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। টিনএজদের গাড়ির অতিরিক্ত গতি ও বিকট শব্দের বিষয়ে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে ছিনতাই ও মলমপার্টির বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, কিছু মানুষের স্বার্থের জন্য যশোরের ৩১ লক্ষ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্থ করা হবে না। সড়কে মানুষের নিরাপত্তার জন্য আমরা সরকারের হয়ে কাজ করবো। মানুষকে সেবা দিয়ে লাভবান হন। সেবা না দিয়ে ব্যবসা করেন না। এছাড়া, যানবাহনে নারী ও শিশুদের বিশেষ নিরাপত্তা দিতে হবে। গাড়িতে জরুরি যোগাযোগের নম্বর রাখতে হবে। নওয়াপাড়া ও বেনাপোলে ওয়েট স্কেল দ্রুত চালু করা হবে।
সভা পরিচালনা করেন, বিআরটিএ যশোরের সহকারী পরিচালক এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন।
