নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের স্টাফ রিপোর্টার শাহানারা বেগম (৬৬) মারা গেছেন। রোববার সন্ধ্যা রাতে শহরের সার্কিটপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না…রাজিউন)। তিনি বার্ধক্যজনিতসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।
রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার মেয়ে সাংবাদিক তামান্না ফারজানা খান চৌধুরী নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মায়ের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
শাহানারা বেগম যশোর প্রেসক্লাব ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্য। যশোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার জোহরবাদ কারবালা মসজিদে নামাজের জানাজা শেষে শহরের কারবালা কবরস্থানে এই নারী সাংবাদিকের দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এহসান-উদ-দৌলা মিথুন ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এজাজ উদ্দিন টিপু। পত্রিকার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তারা মরহুমার রূহের মাগফেরাত কামনা করেছেন।
শাহানারা বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান। নেতৃদ্বয় এক বিবৃতিতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ ও মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে), সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, টেলিভিশন সাংবাদিক এসোসিয়েশন যশোর, ফটো জার্নালিস এসোসিয়েশন যশোরের নেতৃবৃন্দ।
শাহানারা বেগমের সাংবাদিকতা শুরু দৈনিক জনকণ্ঠের দিনাজপুরের হিলি প্রতিনিধির মাধ্যমে। এর পর ১৯৯৬ সালে নিজ জন্মস্থান যশোরে ফিরে দৈনিক খবরে যশোর সংবাদদাতা হিসাবে সাংবাদিকতা করেন। এর পর তিনি সাপ্তাহিক ‘ঝড়’ নামে পত্রিকার সম্পাদনা শুরু করেন। গুণী এই নারীর সম্পাদনায় যশোর অঞ্চলে সাপ্তাহিক ঝড় পত্রিকাটি সুনামের সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে যশোরে কর্মরত ছিলেন। তার মেয়ে তামান্ন ফারজানা খান চৌধুরীও মায়ের সাথে এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের যশোরের দায়িত্বে রয়েছেন।
১ Comment
Pingback: যশোর জেনারেল হাসপাতালে যুবলীগ নেতার হাতে নার্স লাঞ্ছিত