নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের পাঁচ হ্যাচারিতে জি-৩ রুই মাছের ভালমানের রেণুপোনা সরবরাহ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ডফিশ’ এই রেণুপোনা প্রদান করে। সংস্থাটি জানিয়েছে, সারাদেশে ২৫টি হ্যাচারিতে তারা এই রেণুপোনা সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে যশোরের ৫টি হ্যাচারি রয়েছে। ‘জেনেটিক্যালি ইম্প্রুভড’ রুই মাছের এই জাতটির উৎপাদন সাধারণ রুই মাছের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি।
ওয়ার্ল্ডফিশের ফিশ ব্রিডিং অ্যান্ড রিসার্চ প্লাটফর্ম ম্যানেজার মো. মাসুদ আক্তার জানান, জি-৩ রুই মাছের উৎপাদন সাধারণ রুইয়ের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি। এই মাছের নেতিবাচক কোনো দিক নেই। এজন্য সারাদেশে এই মাছকে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ব্রুড মাছ (মাতৃমাছ) উৎপাদনের জন্য সারাদেশের ২৫টি হ্যাচারিতে জি-৩ রুই মাছের ভালমানের রেণুপোনা সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে যশোরের ৫টি হ্যাচারি রয়েছে। উন্নত পরিবেশে এই রেণুপোনাকে বড় করে ব্রুড মাছ তৈরি করা হবে। এই ব্রুড মাছের রেণুপোনা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
যশোর জেলা মৎস্য হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি ও মা ফাতিমা ফিস হ্যাচারির সত্ত্বাধিকারী ফিরোজ খান বলেন, বাংলাদেশে মাছের ঘাটতি পূরণে জি-৩ রুই অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে। এজন্য ওয়ার্ল্ডফিশের মাধ্যমে যশোরের ৫টি হ্যাচারিকে আবারো ভালোমানের জি-৩ রুই রেণুপোনা সরবরাহ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে যশোরের তালবাড়িয়ায় ‘ওয়ার্ল্ডফিশ’র গবেষণা ফার্ম থেকে এই রেণুপোনা সরবরাহ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ডফিশের ফিশ ব্রিডিং অ্যান্ড রিসার্চ প্লাটফর্ম ম্যানেজার মো. মাসুদ আক্তার, কর্মকর্তা মো. রায়হান আলী, যশোর জেলা মৎস্য হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি ও মা ফাতিমা ফিস হ্যাচারির সত্ত্বাধিকারী আলহাজ ফিরোজ খান, সাধারণ সম্পাদক মাতৃফিস হ্যাচারির সত্ত্বাধিকারী জাহিদুর রহমান গোলদার প্রমুখ।
