নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে বাণী অর্চনা, আরতি ও ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলিতে সিক্ত হলেন শ্বেত পদ্মে আসীনা বীণাপাণি। যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদযাপিত হয়েছে সনাতন ধর্মের বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা। গতকাল শনিবার এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীরা ভক্তির মাধ্যমের বিদ্যার দেবী সরস্বতীর কাছে জ্ঞান বৃদ্ধির প্রার্থনা করে। অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসবে উৎসবে মুখরিত হয়।
যশোর সরকারি এম এম কলেজের সরস্বতী পূজার উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক অমেলেন্দু বিশ্বাস, শিক্ষক তাপস কুমার সরকার, মদন মোহন কুমার, অনুপ কুমার প্রমুখ।
যশোর সরকারি মহিলা কলেজে পূজার উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মিয়া আব্দুর রশিদ। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মাহাবুবুল হক খান, শিক্ষক অলোক কুমার ব্যানার্জী, দ্বীপঞ্জন পাল সরকার, শুভাশীষ মজুমদার, দীপ্তি মিত্র প্রভা, দেব প্রসাদ হালদার।
যশোর সরকারি কলেজে পূজার উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর নার্গিস শিরিন। এ সময় প্রফেসর অমল কুমার বিশ্বাসসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে পূজায় অংশ নেন শিক্ষক উত্তম কুমার, গৌতম কুমার, ইন্দ্রজিত রায়, উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
যশোর এমএসটিপি স্কুল অন্ড কলেজে পূজায় অংশ নেন শিক্ষক বিথিকা দে, শর্মিলা বিশ্বাস, বিদেশ সরকার, শ্রাবনী সরকার, জগদীশ দাস প্রমুখ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন বাসা বাড়িতেও এই পুজা অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। দেবীর একহাতে পুস্তক, আর অন্য হাতে বীণা। এজন্য তাকে বীণাপাণিও বলা হয়। তার বাহন সাদা রাজহাঁস। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে দেবী ধরায় আসেন। মর্ত্যলোকে ভক্তরা অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে পূজার অর্ঘ্য নিবেদন করেন।