নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়ায় গ্রামীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এর চার ঘণ্টা পর নবজাতকেরও মৃত্যু হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিহতের স্বজনরা ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সোমার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ভোর ৪টার দিকে যশোর সদর উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী লিমা খাতুনের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এ সময় এক ধাত্রীর পরামর্শে তাকে রুপদিয়া বাজারের গ্রামীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেয়া হয়। এরপর তাকে কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ও রক্তের ব্যবস্থা না করেই সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশনের সময় প্রসূতি মারা গেলে কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে রক্তস্বল্পতার কারণে জ্ঞান ফিরছে না জানিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
খুলনায় নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান রোগী অনেক আগেই মারা গেছে। পরে স্বজনরা ক্লিনিকে গিয়ে তালা ঝুলানো দেখতে পায়। পরবর্তীতে দুপুর ১২টার দিকে নবজাতকও মারা যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বজনরা ওই ক্লিনিকে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
স্থানীয়রা ও নিহতের স্বজনরা জানান, এই ক্লিনিকে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তারা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এদিকে ক্লিনিকের কর্মীরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ রোগী নিয়ে আসা দালালকে হেফাজতে নিয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।