নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের দশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সাবলীলভাবে কথা বলবে ইংরেজিতে। যশোর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এমনই উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আইডিয়া। এই শিক্ষার্থীদের জন্য চার মাসব্যাপি বিনামূল্যে ইংরেজি শিক্ষা কোর্সের তিনদিনব্যাপি উদ্বোধনী কর্মশালা মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করেন।
আয়োজকরা জানান, ‘আইডিয়া স্পোকেন-দ্যা গেইম মেথড’র আয়োজনে যশোর জিলা স্কুলে আয়োজন করা হয় ইংরেজি ভাষা শিখন কার্যক্রমের উপর তিন দিনব্যাপী এই কর্মশালা। স্মার্ট যশোর ফর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে যশোরের স্বনামধন্য দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলতে খেলতে ইংরেজি শিখন কার্যক্রম শুরু করেছে ‘আইডিয়া স্পোকেন- দ্য গেইম মেথড’। এই যাত্রার পূর্বে ১৬ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত তিনদিনের কর্মশালায় নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে আইডিয়া স্পোকেন।
মঙ্গলবার কর্মশালার শেষ দিনে যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ইংরেজির ভয় আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। অনেক শিক্ষার্থী লিখতে পারলেও বলতে ভয় পায়। কিন্তু আইডিয়া স্পোকেন’র গেইম মেথড সকল বয়সের সব শিক্ষার্থীর জন্য ইংরেজি শেখার এক অভিনব মাধ্যম। আমি অত্যন্ত খুশি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শিখন কার্যক্রমের জন্য যশোর খুব দ্রুত রোল মডেল হতে চলেছে। এমন সুন্দর উদ্যোগের জন্য আইডিয়া স্পোকেন টিমকে ধন্যবাদ জানাই।
আইডিয়া স্পোকেনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মো. হামিদুল হক অনুষ্ঠানে কী-নোট উপস্থাপন করার মধ্যে দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চারটি ভিত্তির একটি হলো স্মার্ট সিটিজেন। স্মার্ট সিটিজেন করে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ইংরেজি ভাষায় দক্ষ করে তোলা। শিক্ষার্থীদের খেলার ছলে ইংরেজি শেখানোর জন্যই আমাদের এই মেথড। বর্তমানে যশোরের দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা চারমাস ব্যাপী বিনামূল্যে এই কোর্সের মধ্য দিয়ে সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইংরেজিতে পারদর্শী করে তোলার প্রকল্প নিয়েছি। অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ছিলেন যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন।
শেষ দিনের ওয়ার্কশপে অংশ নেন যশোর জিলা স্কুল, বাদশাহ ফয়সাল ইসলামিক ইনস্টিটিউট, যশোর নবকিশলয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক প্রতিনিধি এবং পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।