এসআই ফারদিন: যশোরে ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে রাস্তার দুই ধারে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাট উচ্ছেদ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার অভিযানের দ্বিতীয় দিন শহরের দড়াটানা মোড়, বড় বাজার, ভোলা ট্যাংক রোড ও স্টেডিয়াম রোড এলাকায় ড্রেন ও পৌর সড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে গেড়ে বসা স্থায়ী ও অস্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
সূত্র মতে, প্রায় তিন শতাধিক ছোট বড় দোকানপাট অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি এদিন ছোট-বড় প্রায় দুইশো স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আরো অর্ধশত স্থাপনা মালিক তাদের নিজ দায়িত্বে স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিয়েছেন।
যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযানে শহরের দড়াটানা মোড়, বড় বাজার, ভোলা ট্যাংক রোড ও স্টেডিয়াম রোড এলাকায় রাস্তার দু’পাশের প্রায় দ্ইুশোটি অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এ সময় বেশকিছু টিনসেডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের অংশ ভাঙা পড়েছে। তিনি বলেন, এখনো যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়ে গেছে, তাও গুড়িয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম আবু নওশাদের নেতৃত্ব উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কেউ পার পাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। শহরজুড়ে চলবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আবু নওশাদ জানান, পৌরসভা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুই পাশে নিরাপদ ফুটপাত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ সময় ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা, ছোট ছোট দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। একই সাথে ফুটপাতের সাথে থাকা ব্যবসায়ী ও দোকানিদের ফুটপাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরোও বলেন, মাইকিংয়ের মাধ্যমে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে ব্যবসায়ীসহ অবৈধ স্থাপনার মালিকদের অবগত করা হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদেরকে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার জন্য আহ্বান করেছি। এরপরও যদি কেউ ফুটপাত দখলে রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।