নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সৈয়দ কবীর হোসেন জনি নামে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী শহরতলীর বিরামপুর গ্রামের আব্দুল আলীর মেয়ে এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের মা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাছলিমা ইসলাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই মামলাটি করেন। বিচারক গোলাম কবীর মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ সুপার (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পিবিআই যশোরকে আদেশ দিয়েছেন। আসামি সৈয়দ কবীর হোসেন জনি অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ গ্রামের মৃত সৈয়দ মোবারক হোসেনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুজ।
বাদী মামলার বিবরণে উল্লেখ করেছেন, তিনি একজন বিধবা নারী ও সাবেক ইউপি সদস্য। পাশাপাশি তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের মা ও শিশুবিষয়ক সম্পাদিকা। রাজনৈতিক কারণে সৈয়দ কবীর হোসেন জনির সাথে বাদীর পরিচয় এবং সুসম্পর্ক রয়েছে। জনিকে ছোট ভাই হিসেবে সম্বোধন করায় প্রায়ই তার বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। পারিবারিক জমি সংক্রান্ত ঝামেলা থাকায় ওই নারী তার কাছে আইনগত পরামর্শ চান। সর্বশেষ গত ১০ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে জনি তার বাড়িতে যান। সমস্যার কথা বলার এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জনি জাপটে ধরে এবং শ্লীলতাহানি ঘটায়। তখন তিনি জনিকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেন এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় জনি দ্রুত তার ঘর থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে উঠে চলে যান।
অভিযোগের বিষয়ে অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনি বলেন, ‘মামলা হয়েছে শুনেছি। একটি পক্ষ ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই নারীকে দিয়ে মামলাটি করিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
এদিকে জনির নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে দাবি করে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।