নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে যশোর সদরের চাঁচড়া পশ্চিমপাড়ার চা দোকানি কবির হোসেনের সাত বছরের ছেলে আজমাইন হোসেন ও চাঁচড়া বড় মেঘলা গ্রামের ইউনুস আলী (৭৫)।
এছাড়া ঝিনাইদাহ কালিগঞ্জের সূবর্ণসারা গ্রামের বিরেণ ঘোষ (৬০) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মারা যান।
নিহত শিশু আজমাইনের বাবা কবির জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বাইসাইকেলে শংকরপুর বাস টার্মিনাল থেকে চাঁচড়ার দিকে যাওয়ার সময় গড়ায়-রূপসা কাউন্টারের সামনে অপর দিক থেকে আসা ট্রাক (যশোর ট -১১-২১৬৩) সাইকেলে সরাসরি ধাক্কা দেয়। এতে শিশু আজমাইন ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে নিহত হয়। এসময় শিশু বাচ্চার বাবা কবির রাস্তার পাশে পড়ে যান এবং তিনি কোন আঘাত ছাড়ায় প্রাণে বেঁচে যান। স্থানীয়রা ট্রাকচালক ঝিকরগাছার নাভারন বেলেমাঠ গ্রামের রাসেল উদ্দিন (৩৫) ও হেল্পার আমির হামজাকে (১৬) ঘটনাস্থলে আটকে রাখেন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতকট্রাক এবং চালক ও হেলপারকে হেফাজতে নেন।
এদিকে গত রোববার বিকেলে সদরের চাঁচড়া বড় মেঘলা গ্রামের ইউনুস আলী বাড়ি থেকে নতুনহাট বাজারে কেনাকাটা করতে যান। নতুনহাট বাজারে পৌঁছলে পিছন থেকে একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তিনি গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। একটু সুস্থ হলে তার পরিবারের সদস্যরা সোমবার তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সকাল ১১টার দিকে মারা যান।
এছাড়া একইদিন বিকেলে ঝিনাইদাহ কালিগঞ্জের সূবর্ণসারা গ্রামের বিরেণ ঘোষ নামে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহতের ভাইপো প্রলয় ঘোষ জানান, কাকা বিরেণ বাইসাইকেল যোগে বাজার করতে বাড়ি থেকে বারোবাজার যাচ্ছিলেন। প্রতিমধ্যে যশোর ঝিনাইদাহ মহাসড়কের ব্যাংলালিংক টাওয়ারের সামনে পৌছালে যশোর গামী একটি দ্রুতগ্রতির বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুত্বর আহত হলে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রশীদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
