নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ইজিবাইক চালক জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আশরাফুল ইসলাম আশাকে গ্রেফতার করেছে যশোরের পিবিআই। গত বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় চাচা শাহিনুর ইসলামের বাড়ি থেকে আশাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
আসামি আশা যশোর শহরের চারখাম্বার মোড় ফুডগোডাউন এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে।
আশরাফুল ইসলাম আশা জানিয়েছে, ঘটনার দিন ১৮ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে যশোর শহরের রামকৃষ্ণ আশ্রমের সামনে আশরাফুল ইজিবাইক ধৌত করছিলো। এসময় জাহিদুল সেখানে তার গাড়ি ধৌত করতে কত সময় লাগবে জানতে চান জাহিদুল। এসময় পূর্বের বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায় পাশে থাকা একটি কাঠের বাটাম দিয়ে জাহিদুলকে আঘাত করে আশরাফুল। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আশরাফুলের ইজিবাইকে করে জাহিদুলকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে যায়। এরপরে তিনি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে তার চাচা শাহিনুর ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে যশোরের পিবিআই তাকে আটক করে যশোরে নিয়ে আসে।
এদিকে নিহতের ভাই অহিদুল শেখের দায়ের করা মামলায় জানা গেছে, তার ভাই জাহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে এসে প্রতিদিন ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। আসামি আশরাফুল ইসলামও একজন ইজিবাইক চালক। সে কারণে তাদের দু’জনের মধ্যে পূর্বপরিচয় রয়েছে। কিছুদিন আগে তারা দু’জনে ইজিবাইক চালিয়ে প্রতিযোগিতা করে। এই নিয়ে আশরাফুলের সাথে জাহিদুলের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। ১৮ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে দু’জনের মধ্যেবাকবিতণ্ডা হয়। তারই জেরধরে আশরাফুল একটি কাঠে বাটাম দিয়ে আঘাত করে। এসময় জাহিদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আশরাফুল ইসলাম আবার তার নিজের ইজিবাইকে তুলে জাহিদুলকে যশোর সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে চলে যায়। এই ঘটনার পরদিন ১৯ অক্টোবর থানায় মামলা করা হয়। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর তদন্ত করে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জ থেকে আসামি আশরাফুলকে আটক করে যশোর আদালতে সোপর্দ করে।
